আইন-বিচার
কর্মদিবসে ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
কর্মদিবসে রাজধানী ঢাকার ভেতরে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রোববার (৬ আগস্ট) বিবাদীদের এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরে আলম উজ্জ্বল।
নোটিশে বলা হয়, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে মুখোমুখি অনড় অবস্থানে রয়েছে। কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রেও তারা পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।
এক্ষেত্রে অন্যান্য বিরোধীদলের চেয়ে বিএনপি-জামায়াত (বিলুপ্ত) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এক ধাপ এগিয়ে আছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
গেলো ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয়। পরে একদিন পিছিয়ে ২৮ জুলাই নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে দলটি। একই দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একই দিনে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ঢাকা শহরে একটি বড় রাজনৈতিক দল সমাবেশ ডাকলেই নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়, সেখানে একই দিনে, কাছাকাছি স্থানে এবং প্রায় একই সময়ে দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল কর্মসূচি মিলে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা নতুন করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই।
নূরে আলম নোটিশে আরও বলেন, যানজটের এ নগরীতে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করছে। এতে নগরবাসী সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ছেন। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
এ অবস্থায় রাজনৈতিক সব দলকে সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার অথবা অন্যান্য সময় সরকারি ছুটির দিনে সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুরোধ করা হয় নোটিশে। অন্যথায় বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন