ফুটবল
ম্যানসিটিকে হারিয়ে ১৭ তম কমিউনিটি শিল্ড জিতলো আর্সেনাল
প্রথমার্ধ সমতায় থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৭ তম মিনিটে পারমারের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। এরপর নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়েরও প্রায় শেষ পর্যায়ে খেলা ঘুরিয়ে দেন লিয়েন্দ্রো ট্রসার্ড। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগে গোল করে সমতায় আনেন আর্সেনালকে। ফলে গেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে সিটিজেনদের ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে ১৩ তম কমিউনিটি শিল্ড জিতলো গানাররা।
আজ রোববার লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুমে প্রথম ম্যাচে গেল মৌসুমের দুই শীর্ষ দল ম্যানসিটির বিপক্ষে মাঠে নামে আর্সেনাল। খেলার শুরু থেকে আক্রমণ পালটা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে ইংলিশ দুই জায়ান্ট। তবে ডেডলক ভাঙে ম্যাচের ৭৭ তম মিনিটে, কোল পারমারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সিটি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর ৮ মিনিট যোগ করেছিলেন রেফারি। সেই যোগ করা সময়ও পেরিয়ে গিয়েছিল। বলা যায়, যোগ করা সময়ের অতিরিক্ত সময় চলছিল। এমন সময় আর্সেনাল সমতা আনবে এমন কামনা বোধ হয় দলটির পাঁড় ভক্তও করেননি।
শেষ মুহূর্তে ডি বক্সে ঢোকার মুখে বল পেয়ে যান আর্সেনালের লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড। তাঁর নেওয়া জোরালো শট সিটির মানুয়েল আকানজির পায়ে লেগে দিক পাল্টে ঢুকে যায় জালে! ব্যস, পাল্টে গেল পাশার চাল! স্কোর হয়ে গেল ১-১! অথচ বল আকানজির গায়ে না লাগলে সরাসরি সিটি গোলরক্ষক স্তেফান ওরতেগার হাতে চলে যেত।
১১৫ বছরের পুরোনো কমিউনিটি শিল্ডে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা হয় না। সমতায় থাকলে ম্যাচ সরাসরি চলে যায় টাইব্রেকারে। সেখানে আর্সেনালের অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ডের পর একে একে সফল স্পট কিক নেন সমতা ফেরানো তোসার, বুকায়ো সাাকা ও ফাবিও ভিয়েইরা।
সিটির হয়ে জালের দেখা পান শুধু বের্নার্দো সিলভা। কেভিন ডি ব্রুইনার শট লাগে বারে আর রদ্রির শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেল। তাতে ৪-১ ব্যবধানের জয় পায় আর্সেনাল। আর কোচ মিকেল আরতেতা পান তৃতীয় ট্রফির দেখা।
২০২০ সালের পর এটিই আর্সেনালের প্রথম শিরোপা। সবশেষ শিরোপাটাও ছিল এই কমিউনিটি শিল্ড। সেবারও লিভারপুলকে ট্রাইব্রেকারে হারিয়ে জিতেছিল ট্রফি। যেই ম্যাচে আলোচনায় আসে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী গোল রক্ষক এমিলিয়ানো মারটিনেজ। আজ সিটির বিপক্ষে জয়ে লিভারপুলকেও ছাড়িয়ে গেছে আর্সেনাল। গানারদের কমিউনিটি শিল্ড এখন ১৭টি, অলরেডদের ১৬টি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন