বাংলাদেশ
গেলো ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ১১৬৭, মৃত্যু ৪
চট্টগ্রাম জেলায় করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ১৬৭ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৩১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠনো প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর ১২ ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৩ হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ১৬৭ জনের মধ্যে শহরের ৮৮৭ ও ১৫ উপজেলার ২৮০ জন। উপজেলার ২৮০ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫৩, রাউজানে ৪০, ফটিকছড়িতে ৩২, রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারায় ২৪ জন করে, পটিয়ায় ১৮ জন, মিরসরাই ও বোয়ালখালীতে ১৬ জন করে, চন্দনাইশে ১২, সীতাকুণ্ডে ১১, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে ১০ জন করে, সন্দ্বীপে ৮, সাতকানিয়ায় ৫ এবং কর্ণফুলী উপজেলায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ২০৩ জন। এর মধ্যে শহরের ৮৫ হাজার ৫২৪ এবং গ্রামের ৩১ হাজার ৬৭৯ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শহরের এক ও গ্রামের ৩ রোগী মারা যান। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৪ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩০ ও গ্রামের ৬২৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১১৪ ও গ্রামের ৫৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৭২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৩৫ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩০৬ জনের নমুনায় শহরের ১২৫ ও গ্রামের ১৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০০ নমুনার মধ্যে শহরের ২৭ ও গ্রামের ৩টি আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা হলে শহরের ১০৪ ও গ্রামের ২২ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ২০ নমুনায় শহরের ২টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৮৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৬৭ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৫২৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০৪ ও গ্রামের ৩৬টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪৯ ও গ্রামের ২৭টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১০ ও গ্রামের ১৫টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৬ জনের নমুনায় শহরের ৪০ ও গ্রামের ১১ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। ল্যাব এইডে ৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬ ও গ্রামের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫৭ জন কভিডে আক্রান্ত পাওয়া যায়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৯৬টি নমুনায় শহরের ১৪ ও গ্রামের ৩২টিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৪১ দশমিক ০৮, চমেকহা’য় ৪৫ দশমিক ১০, চবি’তে ৩০, সিভাসু’তে ৫৪ দশমিক ৩১, আরটিআরএলে ১০ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬ দশমিক ৪৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯ দশমিক ১২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭ দশমিক ৬৪, ল্যাব এইডে ৭৭ দশমিক ৭৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৮ দশমিক ১১, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪৪ দশমিক ৫৩ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২৩ দশমিক ৪৭ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ