আইন-বিচার
গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে তাসমিরা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী শাহীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের গাজকাটি এলাকায় শয়ন কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত গৃহবধূর তাসমিরা ওই এলাকার জয়নালের ছেলে শাহীন ইসলামের স্ত্রী। এবং সে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জের মো. মুছা আলির মেয়ে।
নিহতরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহীনের সাথে তাসমিরার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৭ বছর আগে। তাদের সংসারে দুই বছর ও ছয় মাস বয়সের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগে থাকতো। মিরাকে ছোটখাট কারণে মারধর করতো তার স্বামী। এই ঘটনায় একাধিকবার পারিবারিক ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছেয়। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে তাসমিরার স্বামী তাকে মারধর করলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিলাহাটি যায় তার বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এই সময় তার দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে যেতে চাইলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে রাজি হননি। পরে তাসমিরার বোন তাকে স্বামীর বাড়ি ফিরে আনে। বাসায় আসর পর আবারো তাকে মারধর করা হয় এবং শুক্রবার সকালেও তার উপর নির্যাতন করা হয়। তাসমিরার বাবা মো.মুছা আলির দাবি নির্যাতন করে তার মেয়েকে হত্যা করার পর তাকে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় শোয়ার ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বামী শাহীন ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় দেবীগঞ্জ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাসমিরার বাবা মো.মুছা আলী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
এএম/
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন