রংপুর
ধরলার তীব্র স্রোতে সড়ক ভাঙন, দুর্ভোগে এলাকাবাসী
ফুলবাড়ীতে ধরলার তীব্র স্রোতে সড়ক ভেঙে যাওয়ার ২৮ দিনেও মেরামত না করায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ভেঙে যাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় বিডিআর বাজার থেকে বিজিবি ক্যাম্প যাওয়া পাকা সড়কের ভাঙা অংশটি দ্রুত মেরামত করলেও একই এলাকার ইউপি সদস্য শ্যামল মন্ডলের বাড়ী থেকে বারোমাসিয়া ব্রীজ যাওয়া গ্রামীন কাঁচা সড়কটির তিনটি স্থানে বড় বড় গর্তে পরিনিত হওয়ায় এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন স্থানীয়রা। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা করুণ হওয়ায় কমলমতি শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার চরম ভোগান্তির স্বীকার। সড়ক ভেঙে যাওয়ার ২৮ দিনেও সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশগুলো মেরামত না করায় চরম দূ দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী।
অন্য দিকে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তার বরাদ্দে ৪ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা ব্যয়ে চর-গোরকমন্ডল এলাকায় ১০ ফিট দৈর্ঘ্যের ব্রীজটি হস্তান্তরের ১৫ দিনের মাথায় ধরলার তীব্র স্রোতে ভেঙে যায়। এদিকে ব্রীজ ভেঙে যাওয়ার ২৭ থেকে ২৮ দিনেও মেরামত হওয়ায় ওই এলাকারও প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগ নিয়ে দুই পাশের ফসলি জমির উপর দিয়ে চলাচল করছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহাদয় কয়েক দিন আগে ভেঙে যাওয়া ব্রীজটি পরিদর্শনে এসেছেন এবং তিনি দ্রুত একটি নতুন ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান চর-গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন।
গোরকমন্ডল এলাকার হাসমত আলী (৬৭) ও খয়রত আলী (৫৭) জানান, ২৭ দিন আগে ধরলার তীব্র স্রোতে সড়কের চারটি স্থানে ভেঙে যায়। প্রশাসনের উদ্যোগে পাকা সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশটি দ্রæত মেরামত করা হলেও শ্যামল মন্ডলের বাড়ী থেকে বারোমাসিয়া ব্রিজের পাড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে গ্রামীন কাচা সড়কের ভেঙে যাওয়া তিন স্থানে এখনোও মেরামতের ব্যবস্থা করেনি। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় একটি ভাঙা অংশে বাঁশের সাকো দিয়ে কিছু মানুষ চলাচল করলেও এখনো বড় বড় দুইটি ভাঙা অংশে কোন ধরণের চলাচলের ব্যবস্থা না করায় শিক্ষার্থীসহ প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার চরম দূর্ভোগ পাড় করছেন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সড়কের ভাঙা অংশগুলো মেরামত করার জোড় দাবী জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ জানান,গোরকমন্ডল এলাকায় সড়কের ভাঙা অংশগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি ভাঙা অংশ মেরামত সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি অংশগুলো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
জাতীয়
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫
রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।
নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এএম/
দেশজুড়ে
রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।
অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
দেশজুড়ে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন