এশিয়া
মারা গেছেন জমজম কূপের প্রধান প্রকৌশলী হামজা কোসাক
মারা গেছেন সৌদি আরবের প্রকৌশলীদের জনক হিসেবে পরিচিত ও জমজম কূপ পরিষ্কারকরণ প্রকল্পের প্রথম ব্যক্তি ড. ইয়াহিয়া হামজা কোসাক। গেল এক মার্চ ৮০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ইয়াহিয়া হামজা কোসাকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানায়, জমজম কূপের উন্নয়নে পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেক উন্নয়নকাজ করেছেন প্রকৌশলী কোসাক। সৌদির পানি ও ড্রেনেজ কর্তৃপক্ষের সাবেক মহাপরিচালক ছিলেন তিনি।
১৯৭৯ সালে বাদশাহ খালিদ বিন ফয়সলের সময়ে জমজম কূপ পরিষ্কারকরণ প্রকল্পটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ পরিষ্কারকরণ প্রকল্প। জমজম কূপের পানি প্রবাহ কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী জঞ্জাল অপসারণ করাই এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ছিল। কূপটিতে প্রথম প্রবেশ করেন ইয়াহিয়া কোসাক। একটি সফল পরিষ্কারকরণ অভিযানের নেতৃত্ব দেন তিনি। আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির সাহায্যে জমজমকে ভালভাবে নির্বীজন করেছিলেন তিনি এবং তার দল। এরপর জমজম কূপে পানির প্রবাহ বেড়ে গিয়েছিল। এটি তার জমজম ফুড ফর স্বাদ এবং অসুস্থতার নিরাময় নামে একটি বইয়ে উল্লেখ করেছেন।
পবিত্র নগরী মক্কার এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম হামজা কোসাকের। তাঁর বাবা মক্কার বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। হজ মৌসুমে তাঁর বাবা ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ তুরস্ক থেকে আসা হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। মা ছিলেন সৌদি বাদশাহ ফয়সালের স্ত্রীর বান্ধবী। তার বড় ভাই পবিত্র মক্কা নগরীর সাবেক মেয়র ডঃ আবদুল কাদির।
কায়রোর শামস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা করেন হামজা কোসাক। তবে রিয়াদ থেকে ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকৌশল বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
তাঁর ভাতিজা নাবিল কোসাক বলেন, সহকর্মীদের কাছে অতি প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/