Connect with us

আওয়ামী লীগ

আগস্ট মাস এলে বিএনপি নেতাদের চোখ মুখ শুকিয়ে যায় : কাদের

Avatar of author

Published

on

ওবায়দুল কাদের

‘আগস্ট মাস এলে বিএনপি নেতাদের চোখ মুখ শুকিয়ে যায়। সত্যের মুখোমুখি হতে তারা ভয় পান। ইতিহাসের অনেক প্রশ্ন আছে, সেই প্রশ্নের জবাব বারবার চেয়েও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞেস করেছিলাম- ১৫ আগস্টের খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠাল কে? তাদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কার করল কে? জিয়াউর রহমান?’  বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব সত্য আমরা এখনো জানিনা। সব সত্য এখনো বের হয়ে আসেনি। অজানা অনেক তথ্য রয়ে গেছে। সত্য প্রকাশ হবেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন, সেখানে অনেক সত্য বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এ সত্য আমরা কতজনে স্বীকার করি? ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কয়েকজনকে ফোন করেছিলেন। কে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন? সত্য যদি বলতে হয়, শুধুমাত্র কর্নেল জামিল ছুটে এসেছিলেন ৩২ নম্বরে। আমাদের কোনো নেতা আসেননি। আমরা কেউ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ৩২ নম্বর আসিনি। ঘাতকরা যখন গুলি করছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু কর্নেল জামিলকে ফোন করেছিলেন, কর্নেল জামিল কোনো বাধা মানেননি। তিনি ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভবনের দিকে, আর তাকে পথের মধ্যেই হত্যা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বিবেকের কাছে অপরাধী। বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা বড় পদে এসেছি, বড় নেতা হয়েছি। জামিল যে সাহস, আনুগত্য, দেশপ্রেম দেখিয়েছিলেন সেটা কি কোনো পলিটিশিয়ান দেখাতে পেরেছেন? পারেননি। এটাই সত্য।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বীরপুরুষ কর্নেল জামিল, আমরা সবাই কাপুরুষ। আমাদের যাদের বঙ্গবন্ধু ডেকেছিলেন, ভয়ে সাড়া দেননি, তাদের বীরপুরুষ বলা যাবে? আমরা কাপুরুষ। ইতিহাসে এ সত্যকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘হত্যা যে করেন আর হত্যায় যে মদদ দেন, উভয়ই সমান অপরাধী। হত্যাকারীদের দুঃসাহস দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের দুঃশাসন না হলে পৃথিবীতে এ ঘটনা ঘটত না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে আমি বারবার একই প্রশ্ন করেছি। খন্দকার মোস্তাকের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছিল কে? জিয়াউর রহমান। পঞ্চম সংশোধনী কে করেছিল? মির্জা আব্বাসের লজ্জা করে না? আব্বাস যখন বলেন সংবিধানের কাঁটাছেড়া করেছে আওয়ামী লীগ, তাদের কাঁটাছেড়া সংবিধান আমরা মানি না, মির্জা আব্বাসের লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান এ সংশোধন এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচার বন্ধ করতে।’

আরও একটা প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে দেখলাম ষষ্ঠবারের মতো আরেকটা জন্মদিবস। কোন দিন? ১৫ আগস্ট। আগে কিন্তু ছিল না ১৫ আগস্ট। হঠাৎ করেই ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিবস। বিএনপিকে জিজ্ঞেস করি- একজন মানুষের কয়টা জন্মদিবস থাকে? ছয় ছয়বার জন্মদিবসের কথা যখন আমি বলি, তখন ফখরুল বলেন শিষ্টাচার বহির্ভূত। মিথ্যাচার, বিষোদগার। ক্ষমা করবে না ইতিহাস।’

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়

Published

on

এবার  শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।

জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।

এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন  শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়

Published

on

আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’

Advertisement

বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক

Published

on

সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷

নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it