বাংলাদেশ
আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেছনে ফেলল নৌকা
ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ের দিক থেকে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেছনে ফেলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ইসি ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, ষষ্ঠ ধাপে আওয়ামী লীগের ১১৭টি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯৫টি, জাতীয় পার্টি ৩টি (জাপা) ও জাতীয় পার্টি (জেপি) ১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে।
গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সারাদেশে ২১৮ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২১৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হয়।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। প্রথম চার ধাপে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও, পঞ্চম ধাপে জয়ে এগিয়ে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ষষ্ঠ ধাপে আবারও এগিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
পঞ্চম ধাপ
গত ৫ জানুয়ারি দেশের ৭০৭টি ইউপিতে পঞ্চম ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৬৯২টি ইউপিতে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বিজয়ীদের সংখ্যা জানায় ইসি। বিজয়ীদের মধ্যে স্বতন্ত্র ৩৪৬ জন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ৩৩১ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ২ জন, জাতীয় পার্টি ২ জন ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১ জন প্রার্থী রয়েছেন।
চতুর্থ ধাপ
২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৩৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৭৯৬টি ইউপির ফলাফলের তথ্য জানায় ইসি। এতে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ৩৯৬ জন প্রার্থী জয় পান। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৩৯০ ইউপিতে। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন ২, জাকের পার্টি ১, জাতীয় পার্টি (জাপা) ৬ এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জেপি) ১ জন জয় পান।
তৃতীয় ধাপ
গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৫২৫টিতে, অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে ৪৪৬টিতে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১৭টি, ১টি করে ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থীরা।
দ্বিতীয় ধাপ
গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৮৩৪টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৪৮৬টিতে। আর ৩৩০টিতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ১০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা ৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পান। জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি), খেলাফত মজলিশ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি করে ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে।
প্রথম ধাপ
গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২০৪টি ইউপির মধ্যে ১৪৮টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয় পান। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পান ৪৯ জন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১ ইউপিতে, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও জাতীয় পার্টি (জাপা) ৩টি করে ইউপিতে জয় পায়।
এখন পর্যন্ত পাঁচটি ধাপের ইউপি ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে ১৩৮টি ও ১০ ফেব্রুয়ারি ৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
এসআই/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ