ঢাকা
নির্বাচনে বাধা দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দমন করবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে এ বছর নির্বাচনী মাঠ ঘোলা করার জন্য অনেকেই মাঠে নামবে। অনেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করবে এবং নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে। জাতীয় নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হস্তে দমন করবে পুলিশ। বললেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর সবুজবাগে ‘স্বস্তি’ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। বিদেশি সংস্থাসহ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ, সচিবালয়সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এটি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এটি নির্বাচনী বছরও। নির্বাচন ঘিরে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের সহযোগিতা নিয়ে কঠোর হস্তে তা দমন করবে।
তিনি বলেন, তিন-চারদিন আগেই দেখলেন জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতার (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) হার্ট অ্যাটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ নিয়ে একটি মহল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করছিল। তাতে তারা সফল হয়নি।
হলি আর্টিসান হামলাসহ সারাদেশে জঙ্গিদের ভয়াবহ তাণ্ডব শুরু হয়েছিল জানিয়ে ঢাকার পুলিশপ্রধান বলেন, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে জঙ্গিদের এই উত্থানের মূল কারণ ছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়া। আপনাদের সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমন ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। কিন্তু জঙ্গি বাংলাদেশ থেকে এখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। কিছুদিন আগেও দেখেছেন ডিএমপির সিটিটিসি সিলেটের গভীর অরণ্য থেকে আবার নতুন জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছে।
একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি- এ কথা উল্লে করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত (২০১২-১৩ অগ্নিসন্ত্রাস বাদে) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন পরিকল্পনা সেগুলো বাস্তবায়নে কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।
খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার ফলে অপরাধীরাও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। ডিজিটাল সুবিধা নিয়ে জঙ্গিরাও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছে। জঙ্গিরা এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। ডিজিটাল সুবিধা নিয়ে তারা মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করছে। তবে পুলিশ তাদের থেকে পিছিয়ে থাকতে পারে না। অপরাধীরা ডালে ডালে চললে আমাদের পাতায় পাতায় চলতে হবে।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আজকের এ দিনে সারাদেশের ৬৩ জেলায় জঙ্গিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গিরা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ একটি জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। যারা তখন ক্ষমতায় ছিলেন আমি বলবো তাদের মদতে বাংলাদেশ জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ ও জনগণ জঙ্গিরাষ্ট্র হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত দেশকে রক্ষা করে চলেছে।
ঢাকা
মন্দির পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আরিয়াব এলাকার সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও বিএনপি’র নেতা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভার আরিয়াব দুর্গা মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মন্দির কমিটির লোকজনদেরকে যে কোনো হামলার প্রতিরোধে আশ্বাস দিচ্ছেন।
তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিবাদ লাগাতে প্রস্তুত দুষ্কৃতকারী। তাই রূপগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা উদ্যোগ নিয়েছে। যতদিন দেশ শঙ্কামুক্ত না হচ্ছে মন্দির ভাঙচুর প্রতিরোধে আমরা এভাবে পাহারায় থাকব।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব ভূঁইয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, তারই অংশ আজকের এই পাহারা।
তারাবো পৌরসভার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাসান আরব বলেন, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ যেন সংখ্যালঘু পরিবারের উপরে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সবসময় পাহাড়া থাকবে।
এসয়ম উপস্থিত ছিলেন, তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সাউথ, সহ-সভাপতি আবুল সাউদ, আলমগীর মীর, যুবদলের সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড মোখলেস সাউথ,মকবুল হোসেন, শিক্ষার্থী হাসান ভূঁইয়া, নীরব মিল্কি, আরিয়ান প্রমূখ।
এএম/
ঢাকা
গাজীপুর জেলা কারাগারে গোলাগুলি
হঠাৎ করেই গোলাগুলি শুরু হয়েছে গাজীপুর জেলা কারাগারে । বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ গোলাগুলি শুরু হয়।
গুলির শব্দে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারাগারে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ভেতরে ১৩ জন কারারক্ষী এবং ৩ জন কয়েদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এসি//
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন