অপরাধ
ডিসি-ইউএনওসহ ৫ জনের নামে মামলা
বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নে আদালতের স্থিতাবস্থা জারি করা বিরোধপূর্ণ জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে টুঙ্গিবাড়িয়া কাজলাকাঠি ও বারৈকান্দি এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা মামলাটি দায়ের করেন।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
তিনি জানান, আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন- জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান ও টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়েছে, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়ায় সাবেক জে.এল ৭৮ তথা বিএস, জে.এল ১৩০ নং বারৈকান্দি মৌজার এস.এ ১৭২, ২১৮ নং খতিয়ানের ৬১৫, ৬১৫/৯১২ নং দাগের দশমিক ৩৮ একর তথা বিএস চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ১নং খতিয়ানের বি.এস. হাল ১৩২৫ নং দাগের দশমিক ০৪ একর এবং বি.এস. হাল ১৩২৯নং দাগের দশমিক ৩৪ একর, দশমিক ৩৮ একর ভূমি আদালতের স্থিতাবস্থায় রয়েছে।
মামলার নথিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সম্পত্তির জন্য দেওয়ানী মামলা করে বাদী পক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর আসামিদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত। তবে আসামিরা সেই শোকজের জবাব দেননি।
এরপর চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল আসামিদের আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত দুই পক্ষকে স্ব স্ব দখল ও ব্যবহার অনুসারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
পরবর্তী সময়ে গত ২৬ জুলাই আসামিরা আদালতে আপত্তি দাখিল করেন। তখন আদালত দুই তরফা শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গত ১৩ আগস্ট বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসময় বাদীপক্ষ আদালতের স্থিতাবস্থার বিষয়টি জানায়। তখন তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করে আসামিপক্ষ। তাই আদালতে মামলা করে এ বিষয়ে সুবিচার চেয়েছে বাদী পক্ষ।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট আমাদের কোনো কাজ শুরু হয়নি। টুঙ্গিবাড়িয়ায় আমাদের দুটি কাজ চলমান রয়েছে। যা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ইতঃপূর্বে জমি নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল সেটা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। নতুন করে আদালতের কোনো আদেশ আমাদের কাছে আসেনি, এমনকি কোনো ব্যক্তিও আমাদের কাছে আসেনি। আদালতের আদেশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন