Connect with us

লাইফস্টাইল

গর্ভাবস্থায় পায়ের ব্যথা? দূর করতে যা করবেন

Avatar of author

Published

on

প্রেগন্যািন্সিতে পা ব্যথা

গর্ভাবস্থার প্রতিটি দিন মহিলাদের জীবনে নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা বয়ে আনে। আর এ সমস্ত আশ্চর্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে আনন্দে আত্মহারা ওঠেন মহিলারা। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, হবু মায়ের এহেন আনন্দমুখর দিনগুলিতেও বিপদ হিসাবে সামনে আসতে পারে অসহ্য পায়ে ব্যথা। তাই এ সমস্যা সমাধানে উদ্দেশ্যে প্রথম থেকেই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রেগন্যান্সি

আসলে গর্ভাবস্থায় হঠাৎ করেই শরীরের ওজন বেশকিছুটা বেড়ে যায়। ফলে পায়ের উপর চাপ পড়ে বেশি। এ কারণেই হুট করে পায়ের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। আর একবার এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলে কিন্তু সাধারণ জীবনযাত্রাও কঠিন হয়ে ওঠে। এমনকী একটু হাঁটাচলা করতেও কষ্ট হয়ে যায়।

 

 

তবে ভয় নেই, কিছু সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়েই এ সমস্যার সমাধান করে ফেলা সম্ভব। তাই আর দেরি না করে এইসব ‘হোম রেমেডিজ’ সম্পর্কে জেনে নিন-

Advertisement

পা তুলে বসুন​

গর্ভাবস্থায় সবসময় পা ঝুলিয়ে বসবেন না। এতে পায়ের উপর চাপ বাড়তে পারে। বরং তার পরিবর্তে চেয়ারে বসার পর ছোট একটা টুলে পা তুলে বসুন।

গর্ভাবস্থায় পা তুলো বসা

এই কাজটা করতে পারলেই কিন্তু উপকার মিলবে। আপনার পায়ের যন্ত্রণা কমতে আর সময় লাগবে না। তাই সচল জীবনযাপন করার ইচ্ছে থাকলে সবার প্রথমে এই কাজটা সেরে ফেলুন।

স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে ভুলবেন না​

পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য স্ট্রেচিং-এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প নেই। এইসব এক্সারসাইজের মাধ্যমে পায়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এমনকী পেশি ও হাড়ের শক্তি বাড়ে। সেই সঙ্গে অস্থিসন্ধির নমনীয়তা ফিরে আসে।

প্রেগন্যািন্সিতে ব্যায়াম

আর এইসব কারণেই সহজে কমে পায়ের ব্যথা। তবে কোনও এক্সারসাইজ করার আগে অবশ্যই একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নইলে বড়সড় বিপদের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকবে বৈকি!

হাঁটাচলা ছাড়বেন না​

পায়ে ব্যথার চোটে অনেক গর্ভবতী নারীই হাঁটাচলা বন্ধ করে দেন। আর এই কারণেই তাঁদের ব্যথা, যন্ত্রণার প্রকোপ আরও বাড়তে থাকে। তাই যতই ব্যথা, যন্ত্রণা থাকুক না কেন, একটু আধটু হাঁটার চেষ্টা করুন।

Advertisement

প্রেগন্যান্ট

একা একা হাঁটতে সমস্যা হলে কারও সাহায্য নিয়ে হাঁটুন। এতেই দেখবেন ব্যথার ঘাত-প্রতিঘাত কমবে। আপনাকে আর অহেতুক ব্যথা কমানোর ওষুধের উপর নির্ভরশীল হতে হবে না।

ম্যাসাজ করা চাই​

ব্যথা, যন্ত্রণা খুব বাড়লে ওই জায়গাটায় ম্যাসাজ করতে পারেন। পারলে এক কাপ তেলে এক বা দুই কোয়া রসুন ফেলে গরম করুন। তারপর সেই তেল পায়ে লাগান। এই কাজটা করতে পারলেই কিন্তু পায়ের ব্যথা, যন্ত্রণা কমতে সময় লাগবে না।

গর্ভাবস্থায় পা ব্যথা

তবে অনেক সময় নিজের পায়ে নিজে ম্যাসাজ করলে আরাম পাওয়া যায় না। তাই ব্যথা বাড়লে পরিবারের কাউকে ম্যাসাজ করার অনুরোধ করুন। অন্য কেউ ম্যাসাজ করে দিলেই দেখবেন আপনার পায়ের ব্যথা বাপ-বাপ বলে পালাবে।

বরফ ঠান্ডা সেক দিতে ভুলবেন না​

পায়ে ব্যথার প্রকোপ কমাতে চাইলে সেই জায়গায় বরফ ঠান্ডা সেক দেওয়া চাই। এতেই দেখবেন ব্যথা, যন্ত্রণা নিমেষে কমবে।

পায়ে বরফ স্যাক

তাই দিনে অন্ততপক্ষে দু’বার ১৫ থেকে ২০ মিনিট বরফ সেক দিতে ভুলবেন না যেন।

Advertisement

আর এসব ঘরোয়া উপায়ে পায়ের ব্যথা না কমলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন। তিনিই আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

পরামর্শ

মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়

Published

on

খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।

মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।

১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।

২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।

৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।

Advertisement

৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।

৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে

Published

on

এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।  বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।

সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই?  এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।

আসুন জেনে নেই তাহলে –

১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।

পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।

৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।

৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।

৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।

Advertisement

জেডএস//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি

Published

on

প্রতিকী ছবি

আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।

উপকরণ

ঘন দুধ- ১ কাপ

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )

আম- ২টি

Advertisement

ডিম- ২টি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী

১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।

২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।

Advertisement

৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।

৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।

৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।

৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।

Advertisement

ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it