আওয়ামী লীগ
মূর্খের মতো মিথ্যা বলেন ফখরুল: আইনমন্ত্রী
‘মির্জা ফখরুল মূর্খের মত মিথ্যা কথা বলেন। তথ্য না জেনেই তিনি কথা বলেন, তাই সাথে সাথে ধরা পড়ে যান।’একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনা ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় নিহত হন ২৪ জন।
উনিশ বছর পরে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার ওই ঘটনার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ২১ আগস্টের পুরো বিষয়টি সাজানো নাটক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতাদের ওই মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘২১ আগস্টের ঘটনাকে তিনি (ফখরুল) আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক বলেছেন। এরচেয়ে বড় মিথ্যাচার কি হতে পারে? যে দল হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে সে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুলের মহাসচিব পদ নড়ে গেছে বলেই তিনি মিথ্যাচার করছেন।’
তিনি বলেন, মুফতি হান্নান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সাক্ষী দিয়েছেন, একুশে আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত। তখনকার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ওই ঘটনার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হয়। নানা নাটকীয়তার পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলার রায় দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৭৫’ এর অসম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র পূর্ণ করতেই ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করাই বিএনপির উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, মুফতি হান্নান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সাক্ষী দিয়েছেন, একুশে আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত।
সাহস থাকলে বিএনপিকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে আর ভোট দেবে না। জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দেয় তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন