আওয়ামী লীগ
তারেক রহমানের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয় : জয়
২১ আগস্টের ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের ভূমিকা ধামাচাপা দিতে সাজানো মামলায় ফাঁসানো দিনমজুর জজ মিয়ার সাক্ষ্য উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণের পেছনে তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি নেতাদের জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং চক্রান্ত জড়িত রয়েছে।
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জয় মন্তব্য করেছেন: ‘কীভাবে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য জঙ্গিদের ভাড়া করে এবং পরে জজ মিয়া নামে একজন যুবককে সাজানো মামলায় ফাঁসায়?’
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে হাওয়া ভবন চক্রান্ত নামে পরিচিত এই হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়। তারেক রহমানের নির্দেশে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি কানে আঘাত পান।
২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা, জঙ্গি এবং ব্যবসায়ীসহ তার আস্থাভাজনদের নিয়ে তারেক পরিচালিত ক্ষমতার বিকল্প পাওয়ার হাউস হিসাবে হাওয়া ভবন মিডিয়া রিপোর্টে ব্যাপকভাবে ঊঠে আসে।
মামলার রায় অনুসারে, হামলার আগে তারেক জঙ্গিদের সাথে (যারা এখন সাজা ভোগ করছেন) দেখা করেন, তদারকি করেন এবং মূলত শেখ হাসিনার প্রাণনাশের উদ্দেশে পরিচালিত হামলার নীল নকসার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।
কিন্তু হামলার পর, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সরকার ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি নাটক মন্থন করেছিল যেখানে একজন যুবককে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। পওে সাংবাদিকদের তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছিল যে জজ মিয়াকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়েছিল, বিস্ফোরণের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না। পুলিশের দেওয়া অর্থের বিনিময়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়।
ভিডিওটিতে ভয়ঙ্কর জঙ্গি নেতা আবদুল হান্নানের আরেকটি স্বীকারোক্তি রয়েছে যিনি হরকাতুউল জিহাদ আল ইসলামি (হুজি) এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যে এই হামলার জন্য দায়ী ছিল, এতে এই জঙ্গি স্বীকার করেছে যে শেখ হাসিনাকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত রয়েছে।
‘সেই চক্রান্তে বেশ কিছু জঙ্গি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল যারা আওয়ামী লীগের সমাবেশে মারাত্মক গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছিল। এই হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়।’
এই ভিডিওটি জজ মিয়ার অগ্নিপরীক্ষার ফ্ল্যাশব্যাক নিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগ এবং প্রগতিশীল শিবিরগুলোকে ধ্বংস করার জন্য জঙ্গিদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের স্পষ্ট পৃষ্ঠপোষকতা প্রমাণ করে।
ভিডিওটিতে সিনিয়র সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারও রয়েছে যারা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক মঞ্চস্থ নাটকটি উন্মোচন করেছিলেন।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টায় চালানো গ্রেনেড হামলার ‘মাস্টারমাইন্ডিং’ এর দায়ে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া সত্ত্বেও দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রায় দুই দশক ধরে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দায় অস্বীকার করে আসছে। এই হামলা ‘গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির দাবিকে নাকচ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চরিত্রকে চিরতরে উল্টে দিয়েছে
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন