ফুটবল
ঘরের মাঠে টানা পাঁচ হারে লজ্জা লিভারপুলের
প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে সবাই ঘরের মাঠকে বেছে নিলেও উল্টো পিঠে চলছে লিভারপুল। ঘরের মাঠে টানা ৬৮ ম্যাচ জেতা সেই অলরেডদের অ্যানফিল্ডে শেষ পাঁচ ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে। যার শুরুটা করেছিল বার্নলির হাত ধরে। গত ২২ জানুয়ারি অ্যানফিল্ড থেকে তারা ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল। এরপর ব্রাইটন, ম্যানসিটির পর এভারটনের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে তারা। গতরাত তালিকায় যুক্ত হয়েছে চেলসির নাম।
এদিকে টুখেল দায়িত্ব নেয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ১০ ম্যাচে অপরাজিত চেলসি। গত সেপ্টেম্বরে দুই দলের প্রথম দেখায় যদিও স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে জিতেছিল লিভারপুল।
এদিন পুরা ম্যাচে লিভারপুলের উপর চড়াও হয় চেলসি। টিমো ওয়ার্নার, এন্তনিও কান্তেরা দুর্দান্ত ছিলেন এই ম্যাচে। মাঝ মাঠে কান্তে, জর্জিনহো, ডিফেন্সে রুডিগার, অ্যাজপিলেকুয়েটারা কোনও সুযোগই দেয়নি লিভারপুলকে।
ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান টিমো ভেরনারের। কিন্তু আলিসনকে একা পেয়েও কাছ থেকে তার হাতে বল তুলে দেন জার্মান ফরোয়ার্ড। অবশেষে ২২তম মিনিটে জর্জিনিয়োর লম্বা পাস ধরে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা আলিসনকে এড়িয়ে বল জালে পাঠান লিগে এর আগের ১৪ ম্যাচে গোল না পাওয়া ভেরনার। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়।
প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার তিন মিনিট আগে মাসোন মাউন্টের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। নিজেদের অর্ধ থেকে এনগোলো কান্তের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। পরে লিভারপুল ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে ডান পায়ের বাকানো শটে বল জালে জড়ান এই ইংলিশ ফুটবলার। টমাস টুখেলের অধীনে মাসোন মাউন্ট আট ম্যাচ তিন গোলের দেখা পেলেন। অন্যদিকে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের অধীনে ১৮ ম্যাচে করেছিলেন দুই গোল।
৫৫তম মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারতো ব্যবধান। হাকিম জিয়াশের প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফেরান অ্যান্ড্রু রবার্টসন। পুরো ম্যাচে চেলসির ১১ শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। লিভারপুল লক্ষ্যে তাদের একমাত্র শটটি নিতে পারে শেষ দিকে গিয়ে।
টমাস টুখেল যোগ দেয়ার পর প্রিমিয়ার লীগের আট ম্যাচে আঠারো পয়েন্ট নিজেদের ঝুলিতে নিয়েছে চেলসি। শুধু ম্যানচেস্টার সিটি আট ম্যাচের সবগুলো জিতে ২৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এগিয়ে আছে।
চেলসির কাছে এই হারে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলার আশা ঝুঁকির মুখে পড়লো লিভারপুলের। অন্যদিকে দুর্দান্ত এই জয়ে টেবিলের চারে উঠে আসলো চেলসি। যার ফলে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলার সম্ভাবনা আরো জোরালো করলো ব্লুজরা।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//