Connect with us

রংপুর

মামলা তুলে না নেওয়ায় এক যুবককে মারধর করলো প্রতিপক্ষ

Avatar of author

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পুরনো মামলার জেরে প্রান্তি জনগোষ্ঠি রবিদাস সম্প্রদায়ের এক যুবককে পিটিয়ে হা-পা ভেঙ্গে দিয়ে ভিটাছাড়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত যুবকের পিঠে, পেটে ও মুখে মারাক্তক আঘাত পেয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই  ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নেওয়াশী বাজার এলাকায়।

আহত যুবক সুবাশ চন্দ্র রবিদাস (২৭) উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নেওয়াশী বাজার এলাকায় শ্যামলাল রবিদাসের ছেলে। এ ঘটনায় আহত যুবকের বাবা শ্যামলাল রবিদাস গেলো শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আহত সুবাশ চন্দ্র রবিদাস বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাত ৯ টার দিকে তিনি নেওয়াশী বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নেওয়াশী বাজার সংলগ্ন  ব্রিজের ওপর তাদের প্রতিপক্ষ রাবাইটারী এলাকার সিরাজুল ইসলাম পাঠান (৩৫) ও রফিকুল ইসলাম (৩৪) তার ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। তারা কাঁঠের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করতে থাকলে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে রুটে পড়েন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাডী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারা আমার ওপর হামলার সময় চিৎকার করে করে সিরাজুল ইসলাম পাঠান বলেন মামলা তুলে না নিলে প্রাণ মেরে ফেলা হবে জানান সুবাশ রবিদাস।

আহত সুবাশ রবিদাসের মা সাজমতি রবিদাস বলেন, দুই বছর আগে প্রতিবেশী বজলার রহমানের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে সময় রাতের আঁধারে বজলার রহমানের পক্ষে সিরাজুল ইসলাম পাঠানসহ একদল সন্ত্রাসী তার ছেলে সুবাশকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। সুবাশ কোনোরকম ভাবে প্রাণে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় সেই সময় ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আরও জানান”বেশ কিছুদিন ধরে বজলার রহমান ও সিরাজুল ইসলাম পাঠন মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে চাপ দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নেওয়ায় সিরাজুল ইসলাম পাঠান আবারো আমার ছেলেকে মারপিট করে হা-পা ভেঙ্গে দিয়েছন বলে তিনি জানান।

সুবাশের ছোট বোন কলেজছাত্রী পূর্ণিমা রবিদাস (১৮) বলেন, ওই চক্রটি আমাদেরকে ভিটে ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। “আমাদের বসতভিটার ১৩ শতাংশ জমি ছাড়া কোন সম্পদ নেই। আমাদের বসতভিটার ওপর কু-নজর পড়েছে। “দাদা এখনো গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিনিয় আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে ওই চক্রটি। আমরা বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছি। কেউ আমাদের পাশে নেই। এঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান তিনি।

Advertisement

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আশরাফুল আলম ও সমাজকর্মী ফাতেমা বেগম জানান, সিরাজুল ইসলাম পাঠান ও রফিকুল ইসলাম যেভাবে সুবাশ রবিদাসকে প্রচন্ড মারপিট করেছে। মারপিটের সময় কাউকে যেতে দেননি। দুই বছর আগেও তাকে তাদের দ্বারা হামলা শিকার হন। এখন সুবাশসহ ওই পরিবারটি খুবই অসহায় বলে জনান তারা।

তবে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম পাঠানে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সুবাশ রবিদাসকে আপনি যত বেশি শুনেছেন তত বেশি মারপিট করা হয়নি। যাতে মামলাটা তুলে নেয় সেজন্য সামান্য মারপিট করেছি। তবে মামলাটি তুলে নিলে সুবাশের সাথে আর কোন দ্ব›দ্ব থাকবে। সুবাশ যদি কোন কারণে মামলা তুলে না নেয় তাহলে কি আবারও তাকে মারপিট করা করবেন কি এমন প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত পাঠান জানান তা এখনে বলতে পারবো না। আপনা সাথে পরে কথা হবে।

এ দিকে বজলার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার কিছুই জানেন না। মিথ্যা ও হয়রানিমুলকভাবে তার ওপর অভিযোগ আনা হচ্ছে। অতীতের ঘটনার সাথেও তিনি জড়িত ছিলেন না। সুবাশ রবিদাসে পরিবারকে তিনি অথবা তার লোকজন কখনই হুমকি দেনদিন বলে তিনি দাবি করেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন সুবাশের বাবা শ্যামলাল রবিদাস। শনিবার দুপুর ১২ টায় পুলিশ সরেজমিনে যান। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Advertisement

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫

Published

on

রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।

নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

Advertisement

পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।

উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট  

Published

on

রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।

অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার  আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

এনএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২

Published

on

রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার  আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

এনএস/

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it