আইন-বিচার
ফারদিনের মৃত্যু: ১ অক্টোবরের মধ্যে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমার আদেশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে দিতে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আবারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত সিআইডি কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দিতে না পারায় মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
গেলো ১৬ এপ্রিল আরেক আদালতে ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিনের করা মামলার আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে নিয়ে ডিবির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নুরউদ্দিন অনাস্থা আবেদন করলে বিচারক আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।
রিট আবেদনে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর বাবা কাজী নুরউদ্দিন মামলাটি যথাযথভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ এনে অধিকতর তদন্ত দাবি করেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগও করেন তিনি।
গেলো ৮ জানুয়ারি মামলায় জামিন পাওয়া বুশরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আইনজীবীর মাধ্যমে বুশরা তার আবেদন জমা দিয়েছেন।
নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর গেলো বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গেলো ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ফারদিন আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। তবে, ফারদিনের বাবার ভাষ্য, তা অসম্ভব।
ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে গেলো বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নাকচ হলে গেলো ১৬ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এক মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে গেলো ১১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায়, ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।
পরদিন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় বুশরার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তারের ২ মাস পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বুশরা।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন