টুকিটাকি
মস্তিষ্ক থেকে বের করা হলো জীবন্ত গোলকৃমি
মাথার মস্তিষ্ক থেকে বের করা হলো ৮ সেমি লম্বা এক জীবন্ত গোলকৃমি। ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার এক নারীর। ইতিমধ্যে তার মাথা থেকে অপারশেন করে কৃমিটি বের করা হয়েছে। মানুষের মস্তিষ্কে জীবন্ত গোলকৃমি পাওয়ার এই ঘটনাকে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রেইনে কৃমি এর আগেও পাওয়া গেছে। তবে সেগুলো ফিতা বা অন্যান্য ধরনের কৃমি। তবে এবারই প্রথম গোলকৃমি পাওয়া গেল। যা সাধারণত সাপ বিশেষ করে অজগরের পেটে পাওয়া যায়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা হাসপাতালে এক ইংরেজ নারীর ব্রেইনে অপারেশন করে জীবন্ত গোলকৃমি বের করা হয়। ডা. হরি প্রিয়া বান্দি নামে হাসপাতালের এক নিউরোসার্জন রোগীর মস্তিষ্ক থেকে ৮ সেমি দীর্ঘ একটি কৃমিটি বের করেন।
কৃমিটি বের করার পর সহকর্মী সংক্রামক রোগের চিকিৎসক ডা. সঞ্জয় সেনানায়েকে কে ডেকে বিষয়টি জানান ডা. হরি প্রিয়া বান্দি। তিনি বলেন, ‘আপনি বিশ্বাস করবেন না, আমি এইমাত্র এক নারীর ব্রেইনে কি পেয়েছি।’ তার কথায়, ‘কৃমিটি তখনও জীবন্ত ছিল ও নড়াচড়া করছিল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের নিউ সাউথ ওয়েলসের অধিবাসী ৬৪ বছর বছর বয়সী ওই নারীকে ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে প্রায় তিন সপ্তাহ পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন তিনি।
এরপর অবিরাম শুকনো কাশি, জ্বর ও রাতে ঘাম হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এই উপসর্গগুলো ছাড়াও ২০২২ সালের দিকে দেখা দেয় স্মৃতিবিভ্রম ও অবসাদ। যার প্রেক্ষিতে স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে ক্যানবেরা হাসপাতালে পাঠান। এখানে তার এমআরআই করা হয়। এতে তার ব্রেইনে অস্বাভাবিক কিছুর উপস্থিতি ধরা পড়ে এবং অপারেশনের প্রয়োজন হয়।
তবে রোগীর মাথায় কৃমি পাবেন এমনটা চিন্তাও করেননি নিউরোসার্জন। যেমনটা বলেছেন ডা. সেনানায়েকে। তিনি বলেন, ‘নিউরোসার্জনরা সবসময়ই মস্তিষ্কে সংক্রমণের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা ও কাজ করেন। কিন্তু এমন সমস্যা কোনো চিকিৎসকের জীবনে হয়ত একবার আসে। কেউই আশা করেননি যে, এমন কিছু (গোলকৃমির মতো) পাওয়া যাবে।’
বিষ্ময়কর এ ঘটনা হাসপাতালের সব চিকিৎসককে মুহূর্তে এক জায়গায় জড়ো করে ফেলে। এরপর তারা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন যে, এটা আসলে কোন ধরনের গোলকৃমি। এছাড়া ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় চিকিৎসা কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
সেনানায়েক বলেন, আমরা তখনই পাঠ্যবই খুলি। ব্রেইনে অনুপ্রবেশ ও রোগ সৃষ্টি করতে পারে এমন সব ধরনের গোলকৃমি সম্পর্কে খোঁজ শুরু করি। কিন্তু কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বাইরের বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নিই। জীবন্ত কৃমিটি সিএসআইআরও-এর একজন বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠালে তিনি এক দেখাতেই তা চিনতে পারেন এবং এটির বৈজ্ঞানিক নাম ওফিডাসকারিস রবার্টসি বলে জানা যায়।
এই ধরনের গোলকৃমি সাধারণত অজগর সাপে পাওয়া যায়। তবে এ ধরনের কৃমি কিভাবে এই নারীর মাথায় এলো তার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে ডা. সেনানায়েকে বলেন, রোগী একটি লেক এলাকায় বসবাস করতেন, যেখানে কার্পেট অজগরের আবাস ছিল। সাপের সঙ্গে সরাসরি কোনো সংস্পর্শ না থাকলেও তিনি সেখান থেকে নিয়মিত ঘাস সংগ্রহ করতেন। এর মধ্যে এক ধরনের ঘাস ছিল তা তিনি রান্নায় ব্যবহার করতেন।
রোগীর চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ঘাসের ওপর হয়ত অজগর কৃমিটি নিঃসরণ করেছে। তারা মনে করেন, রোগী ঘাসের ওপর সরাসরি পরজীবীটি স্পর্শ করা বা রান্নার পর তা খাওয়ার মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। সেনানায়েকে বলেছেন, রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং এখনও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
টুকিটাকি
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ বছর ধরে তরুণীকে ধর্ষণ
তরুণীকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগে রোববার মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী থেকে ২৮ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠাণে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম রিয়াসাত ইলিয়াস কুরেশি। গেলো দু’বছর ধরে এক তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণ করেছে সে।
অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দু’জনেই ঠাণের বাসিন্দা। ২০২১ সালে বছর ২৪-এর ওই তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় ইলিয়াস। কিছু দিনেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। এর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে সে। একবার ওই তরুণীকে গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়।
কিন্তু এ বছর তরুণী বিয়ের কথা তুলতেই বেঁকে বসে সে। এর পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।
রাবোড়ি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পেশায় এক জন দর্জি। নিজের দোকান রয়েছে তার। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর বিয়েতে রাজি না হওয়াতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেএইচ
টুকিটাকি
বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে
যুগলের বিয়ের আগে বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে। অনেক খুঁজেও তাদের হদিস মিলল না। অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্চ জেলার। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে যুগলের বাগ্দান পর্ব সারা হয়েছিল। বাকি ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারই তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন আগে হঠাৎই উধাও হয়ে যান বরের বাবা। ওই একই সময় থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কনের মায়েরও। দুই পরিবার এ নিয়ে বিভ্রান্ত হয়। নানা জায়গায় দু’জনের খোঁজ করা হয়। কী থেকে কী হয়েছে, কারও সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না।
প্রায় এক মাস ধরে দু’জনের খোঁজ করে পরিবার। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন কনের বাবা। তার অভিযোগ, তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তার হবু জামাইয়ের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্তের নাম শাকিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নিজেরই ১০ সন্তান। এ ছাড়া, ওই মহিলার আরও ছয় সন্তান রয়েছে। মোট ১৬ সন্তান রেখে তারা পালিয়েছেন।
কনের বাবা থানায় জানিয়েছেন, গেলো ৩ জুন থেকে তার স্ত্রী নিখোঁজ। একই সময় থেকে পাওয়া যাচ্ছে না হবু জামাইয়ের বাবাকেও। তিনি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা অভিযোগকারীর।
তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দু’জন স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন। তবে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, যুগলের বাগ্দানের পর থেকেই বরের বাবা এবং কনের মা নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করেন। গোপনে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরেই দু’জন পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার বলেছেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গেলো ১১ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারা অনুযায়ী অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই পালিয়েছেন। তবু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি স্বেচ্ছায় না হয়ে থাকলে ওঁকে ফিরিয়ে আনা হবে।’
জেএইচ
টুকিটাকি
স্বামীর গায়ের রং কালো, তাই বাপের বাড়ি চলে গেলেন স্ত্রী
স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন স্ত্রী! বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে গেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবক। তার অভিযোগ, সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী। আর ফিরতে চাইছেন না। চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে স্বামীর গায়ের রংকে দুষছেন তিনি। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মহিলাও স্বামীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে পাল্টা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। ২৪ বছর বয়সি যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। কিছু দিন আগে তার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। এর পরেই সন্তানকে ফেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। কিছু দিন পর বাপের বাড়ি থেকে যুবক স্ত্রীকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় তার সঙ্গে ঘর করতে চান না।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ আপাতত আগামী শনিবার দম্পতিকে থানায় তলব করেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দু’জনের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে গোলমাল মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। তাতেও যদি মিটমাট না হয়, তবে অভিযোগ অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
গোয়ালিয়রের ভিকি ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্ত্রী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিক বার ঝামেলাও হয়েছিল। কিছু দিন আগে সন্তান জন্ম দওয়ার পরেই স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যদিও মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, স্বামী তার উপর অত্যাচার করেন। সেই কারণেই তিনি বাড়ি ছেড়েছেন।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন