আইন-বিচার
রাজারবাগ পীর নিয়ে প্রতিবেদন করায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি
রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমান ও তার অনুসারীদের নিয়ে প্রতিবেদন করায় নাগরিক টিভির এক নারী সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি ও নিয়মিত লোকজন নজরদারি করায় নিরাপত্তারহীনতার কথা জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকের নাম ফারাহ্ বিলকিস (টিভিতে পে অফ যায় ফারাহ হোসাইন)। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাতে ডিএমপির হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি জিডি (১৭০৭) করেন।
জিডিতে ফারাহ্ উল্লেখ করেন, ‘গেলো ২৩ ও ২৪ আগস্ট রাজারবাগ পীর দিল্লুর রহমান ও তার অনুসারীদের নিয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচার করি। ঐ প্রতিবেদনটি করার সময় রাজারবাগ পীরের অনুসারীরা তাদের ফুটেজ নিতে বাঁধা দেয়। এবং সম্প্রচার যেনো না হয় প্রতিবেদনটি সেজন্য তারা আমার অফিসেও যায়। কিন্তু আমি প্রতিবেদনটি সম্প্রচার করি। তারা হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে বলে প্রতিবেদনটি যেনো সম্প্রচার না করি। এরআগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাইকোর্টেও একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছিলাম রাজারবাগ পীর নিয়ে। তখন তারা রাতের বেলা আমাদের অফিসে যায় প্রতিবেদনটি সরিয়ে দেয়ার জন্য। পরে অফিস নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিবেদনটি নামিয়ে ফেলে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেই তারা মামলা করে ও নানা ভাবে হয়রানি করতে পারে বলে আতংক বোধ করছি। এছাড়া, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই আমার ফেইসবুক হ্যাক হয়। তখন তাদেরকে সরাসরি ফোনে এ বিষয়টি জানাই। তখন তারা বলে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে।’
এ দিকে সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টারদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। বুধবার ডিআরইউ’র দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিবৃতিতে ডিআরইউ’র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, নিউজ প্রকাশের জেরে এর আগেও রাজারবাগ পীরপন্থীরা আমাদের সদস্য সহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও হুমকি দিয়েছেন। পেশাদার সাংবাদিককদের বিরুদ্ধে এ ধরণের হুমকি প্রদান ও মামলা দেয়া মুক্ত ও স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।
ফারাহ্ বিলকিসসহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। একইভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান নেতারা।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন