আইন-বিচার
চলন্ত বাসে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, চালক-হেলপার আটক
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় চলন্ত বাসে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাসচালক এবং হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে আটক করে বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে এ ঘটনা ঘটে।
চালক (১৭) উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। হেলপার (১৫) একই ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী জানায়, সে স্কুল শেষ করে দুপুর আড়াইটার দিকে বাউশিয়া মধ্যমকান্দি এলাকায় বাড়িতে ফেরার জন্য মেসার্স আর এম ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির একটি মিনিবাসে ওঠে। বাসটিতে কোনো নম্বর প্লেট ছিল না। এসময় বাসটিতে ছয়-সাতজনের মতো যাত্রী ছিল। বাসটি এক-দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর বাস থেকে বাকি যাত্রীরা নেমে যায়। আর কোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসের চালক এবং হেলপার তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তার হাত ধরে টানা-হেঁচড়া শুরু করে। তাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। তাদের কথা না শুনলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। চালক বাসটি মধ্যমকান্দিতে না থামিয়ে তাকে চর বাউশিয়া এলাকার মাজারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে ভয়ে তারা তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। পরে একজনের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে ফোন দিয়ে ঘটনা খুলে বললে তার চাচা ৯৯৯-এ পুলিশের সহায়তা চান।
বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? বাসটিতে কোনো নম্বর প্লেট নেই শুনেছি। চালক এবং হেলপারের যে বয়স তাতে মনে হয় তাদের লাইসেন্সও নাই। তাহলে এই ধরনের পরিবহন রাস্তায় কীভাবে চলতে পারে?
বিষয়টি সম্পর্কে বিআরটিএ মুন্সিগঞ্জের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, এই পরিবহনের গাড়ির রুট পারমিট নেই। দ্রুতই আমরা এসব গাড়ির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এ ঘটনায় চালক ও হেলপারকে আটক করে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। গাড়িটির কোনো নম্বর প্লেট ছিল না এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন