আওয়ামী লীগ
স্মরণকালের বৃহৎ ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি আমরা: ছাত্রলীগ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণের ছাত্র সমাবেশে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহামিলন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ পরিদর্শন শেষে ছাত্রলীগের র্শীষ নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, সারাদেশের ছাত্র সমাজ, তরুণ সমাজ, নতুন প্রজন্ম একটি সুরে, একটি নামে ঐক্যবদ্ধ। উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা দিন বদলের কথা দিয়ে এদেশে লাখো কোটি মানুষের দিন বদল করেছেন। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা তিনি করেছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে, যারা প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চা করে এমন সংগঠনকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। রাজনৈতিক মতবিরোধ অনেকের থাকে, কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কারো মতবিরোধ নেই, শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো মতবিরোধ নেই, তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে সাফাই করেছে, রাজাকারের পক্ষে সাফাই করেছে এবং সামরিক স্বৈরশাসকের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে তাদের ছাড়া সব ছাত্র সংগঠনকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আগামীকাল আমরা স্মরণকালের বৃহৎ ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বলিয়ান থাকবো, জাতির পিতার আদর্শ বলিয়ান থাকবো। একই সঙ্গে খুনিদের সঙ্গে, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করার জায়গা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেই। শেখ হাসিনার প্রতি এদেশে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর যে গভীর ভালোবাসা রয়েছে, শিক্ষার্থীর হৃদয়ে যে ভালোবাসা রয়েছে, বহি:প্রকাশ করতেই এই সমাবেশ। এটি শুধুমাত্র ছাত্রলীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এই ছাত্রসমাবেশের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের আগমনী যে রায় সেটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ এখন দলীয় বিষয় নয়, বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মের কমন ড্রিমে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আজকেও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পথ খোলা রেখে তারুণ্যের মাধম্যে এটা আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছি। শুধু ছাত্রলীগের ৫ লাখ কর্মী অংশগ্রহণ ছাড়াও কয়েক লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মরণে স্মরণকালের ছাত্রসমাবেশ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকালের ছাত্র সমাবেশে আমরা প্রত্যাশা করছি সারা দেশ থেকে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহামিলন মেলা অনুষ্ঠিত হব। সারাদেশের ছাত্র সমাজ, তরুণ সমাজ, নতুন প্রজন্ম একটি সুরে একটি নামে ঐক্যবদ্ধ। উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প তাদের সামনে নেই। শেখ হাসিনা দিন বদলের কথা দিয়ে এদেশে লাখো কোটি মানুষের দিন বদল করেছে। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা তিনি করেছেন।
তিনি বলেন, আজকের তরুণ সমাজ প্রবলভাবে আস্থা রাখে, প্রবলভাবে বিশ্বাস করে-শেখ হাসিনা অতীতের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রসমাজ আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। আগামী কালকে ছাত্রসমাবেশে লাখো লাখো ছাত্রের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে একটি বার্তা পৌঁছে দেব, তরুণ সমাজ জাতির পিতার কন্যার সাঙ্গে ছিল, জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে আছে। কালকে ছাত্রলীগের এই সমাবেশের মাধ্যমে লাখো তরুণদের সঙ্গে নিয়ে শপথ নিতে চাই, এদেশের অপশক্তি ও অপ তৎপরতাকে রুখে দিতে তরুণ সমাজ প্রস্তুত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন