খুলনা
কুষ্টিয়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ট্রেন চালাচল বন্ধ
কুষ্টিয়ায় মালবাহী ট্রেনের ৫টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী, রাজবাড়ী-খুলনা ও ফরিদপুর-রাজশাহী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেলপথের কুষ্টিয়া মিলপাড়া ঘোরলাইন এলাকায় ৫টি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাবুদ্দিন জানান, সেখানে কোনও প্রানহানীর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে পরিবহণ বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় মালবাহী টেনের বগি লাইনচ্যুতির সংবাদ পেয়েই উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থলের লাইনটি সিঙ্গেল হওয়ায় উদ্ধার কাজে সময় একটু বেশী লেগে যাবে। দুর্ঘটনা কবলিত গম বহনকারী মালবাহী ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে ফরিদপুর অভিমুখে যাচ্ছিল। ঘটনার পর থেকে মেইন লাইন ব্লক হওয়ায় উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই রুটের সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। উদ্ধার কাজ শেষ করতে ঠিক কতক্ষন সময় লাগবে এবং কখন নাগাদ রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে তা এই মুহূর্তে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান এই রেল কর্মকর্তা।
পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনের (দৈনিক ভিত্তিক ভারপ্রাপ্ত) ষ্টেশন মস্টার শরিফুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ষ্টেশনে প্রবেশ করেছিল বেলা ৩টা ৫৫মিনিটে। এখানে সান্টিং শেষে কুষ্টিয়া বড় স্টেশন ঘটনাস্থল মিলপাড়ায় পৌঁছে গেছে।
এস
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//