আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু মাত্রই শেখ হাসিনা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াতে। আমি ঘুরে দেখেছি, আপনি ১৫ বছরে যেভাবে বাংলাদেশকে আলোকিত করেছেন, দেশের মানুষ মনে করে, আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, ততদিনই বাংলাদেশ আলোকিত থাকবে, এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে। এ দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। আবারও তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবে। আপনি বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যাবেন, যেটা হবে উন্নত বাংলাদেশ। সেই দিন আর দূরে নেই বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক অংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করে সেতু বিভাগ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি সব জায়গায় একটি ধ্বনি শুনেছি, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু মাত্রই শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আমি আপনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যাবে। তবুও কথা শেষ হবে না। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে ধারণ করি সেভাবেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনারা দুই বোনকে হৃদয়ে ধারণ করি।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন। সেটা যে কতটা আবশ্যকীয় তা আজ সবাই অনুধাবন করছেন। আমাদের নতুন প্রজন্ম মাথা উঁচু করে বলতে পারবে বঙ্গবন্ধুর দেশ, বাংলাদেশের মানুষ আমরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেজগাঁও বা পুরান ঢাকা থেকে কিংবা ঢাকার যেকোনো অঞ্চল থেকে এয়ারপোর্ট যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগত। আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হলো। এখন ১০ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছানো যাবে।
তিনি বলেন, আমি পৃথিবীর যেখানেই গিয়েছি সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শুনেছি। সবাই জিজ্ঞাসা করেন, কীভাবে একটা অনুন্নত দেশ, ২০০৮ সালে যেখানে মাত্র ৫৬০ ডলার ছিল মাথাপিছু আয়, সেখান থেকে টেনে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তিনি যা বলেন, তাই তিনি বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দেন বলেই দেশের মানুষ হৃদয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভালবাসে।
প্রধানমন্ত্রীকে ভিশনারি নেতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেনরি কিসিঞ্জারের উক্তি ছিল, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলছেন, যদি কিছু দেখতে চাও, দেশকে যদি উন্নত করতে চাও, তাহলে বাংলাদেশে যাও। শেখ হাসিনার দেশে যাও। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা, কৌশল।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নাফ নদীকে রক্তে রঞ্জিত করার দৃশ্য দেখেছিলাম। সেদিন আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম। আপনি বলেছিলেন, আসতে দাও, আমরা যদি খেতে পারি, তাহলে ওদেরও খেতে দিতে পারব, শেয়ার করব। সেদিন থেকে আপনি মাদার অব হিউমিনিটি নামে দীক্ষিত হয়েছেন। আমরা এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারি।
বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা আপনি চালু করে স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। সে কারণে আজকে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ চলে এসেছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজ আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এএম/
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/