খেলাধুলা
আজ শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের বাঁচা-মরার লড়াই
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিয়েও স্বস্তিতে নেই শ্রীলঙ্কা। ‘বি’ গ্রুপে এখনও পর্যন্ত লঙ্কানরা রয়েছে টেবিলের শীর্ষে। কিন্তু লাহোরে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে এই অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। নাও হতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে, ম্যাচ কিভাবে শেষ হচ্ছে তার ওপর।
লঙ্কানদের কাছে ৫ উইকেটে হারলেও পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ উঠে গেছে সুপার ফোরে। কারণ, আজ শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের ম্যাচের ফল যাই হোক, বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। হয় দ্বিতীয় স্থানে থাকবে, নয় তো শীর্ষে উঠে যাবে।
সে হিসেবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান, দুই দলের জন্যই বাঁচা-মরার লড়াই। সুপার ফোরে যেতে হলে শ্রীলঙ্কাকে যে কোনো ব্যবধানে জিতলেই হবে। অন্যদিকে আফগানদেরও সম্ভাবনা আছে সুপার ফোরে ওঠার। সে ক্ষেত্রে লাহোরে রানের উইকেটে লঙ্কানদের বড় ব্যবধানেই হারাতে হবে আফগানিস্তানকে।
সেই ব্যবধানটা কেমন? যদি আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে, তাহলে তাদেরকে সংগ্রহ করতে হবে ২৭৫ কিংবা তারও বেশি রান। সে ক্ষেত্রে আফগানদের জিততে হবে অন্তত ৬৮ অথবা তারও বেশি রানের ব্যবধানে। আর যদি পরে ব্যাট করে, তথা রান তাড়া করতে নামে, তাহলে আফগানদেরকে জিততে হবে ৩৫ ওভারের মধ্যেই। অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেয়া যে কোনো টার্গেটকেই ৩৫ ওভারের মধ্যে তাড়া করে জিততে হবে।
লাহোরের উইকেটে রান ওঠে। তা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আফগান বোলিংকে মোকাবেলা করে বাংলাদেশ গড়েছিলো ৩৩৪ রানের বিশাল স্কোর। রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানও করেছিলে ২৪৫ রান। হিসেব করে রয়ে-সয়ে খেললে এই স্কোরটা আরও বাড়াতে পারতো তারা।
সে হিসেবে ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। একে তো প্রথম ম্যাচ জয় করে তারা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তারওপর এলপিএল থেকে দেখা গেছে লঙ্কান ব্যাটাররা শুকনো (গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মতো) উইকেটে বেশ ভালো ব্যাটিং করছেন। লঙ্কান টপ অর্ডাররা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন।
ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকজন সেরা বোলার এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলেও তার প্রভাব দলের ওপর পড়তে দেয়নি অন্য বোলাররা। বাংলাদেশের বিপক্ষেই তারা প্রমাণ করেছে, কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। সে হিসেবে আফগান ব্যাটারদের যে আজও পরীক্ষা দিতে হবে, সন্দেহ নেই।
সব মিলিয়ে আজকের ম্যাচটি যেহেতু এমনিতেই গুরুত্বপূর্ণ দুই দলের জন্য, সে হিসেবে দুই দলই জানপ্রাণ দিয়ে লড়াই করবে সুপার ফোরে নিজেদের জায়গাটা ঠিক করে নেয়ার জন্য। সুতরাং, একটি জমজমাট ম্যাচই দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//