রাজশাহী
কোল্ড স্টোরে ৩০লাখ টাকা চুরি, গ্রেপ্তার ৫
রাজশাহীর পবা উপজেলার রাজ কোল্ড স্টোরেজের সিন্ধুকের তালা ভেঙ্গে ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা চুরির চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার করেছে পবা থানা পুলিশ। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৫ জন চোর এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো, আ: জালাল শেখ (৫৯), কাদের শেখ (২৮), কামরুল ইসলাম (৪০), ইকতিয়ার বিশ্বাস(৪২), জাকির গাজী(৫৬)।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জামিরুল ইসলাম জানান, গেলো ১২ আগস্ট বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্য অস্ত্রসহ ফকিরহাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন জেলায় চুরি, ডাকাতিসহ রাজশাহীর পবা থানার রাজ কোল্ড স্টোরেজে ভোল্ট ভেঙ্গে টাকা চুরির কথাও স্বীকার করে। বিষয়টি ফকিরহাট থানা পুলিশ পবা থানা পুলিশকে অবহিত করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাহাবুল ইসলাম ফকিরহাট থানায় উপস্থিত হয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোল্ড স্টোরেজের চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত আসামিদের পুনঃগ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা পবা থানার রাজ কোল্ড স্টোরেজে ভোল্ট ভেঙ্গে টাকা চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। শুক্রবার পবা থানা পুলিশ আসামিদের আদালতে প্রেরণ করলে আসামি জালাল শেখ নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গেলো ২৫ জুন রাতে মাঝ বয়সী তিন ব্যক্তি কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে পবা থানার বড়গাছী গ্রামে রাজ কোল্ড ষ্টোরেজের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা অফিসের গেটের তালা ও ক্যাশ রুমের তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করে ভোল্টের তালা ভেঙ্গে ৩০ লক্ষ্য ৬৭ হাজার টাকা চুরি করে। এ ঘটনায় রাজ কোল্ড স্টোরেজের মালিক মো: আহসান উদ্দিন সরকার চুরির মামলা দায়ের করেন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ