Connect with us

উত্তর আমেরিকা

জি-২০ সম্মেলনে ঐক্য ও অর্থনীতির ওপর জোর বাইডেনের

Avatar of author

Published

on

জো বাইডেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের জন্য বৃহত্তর বৈশ্বিক সমর্থনের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে, এ সংঘাতের কারণে উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভয়েস অব আমেরিকাকে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর অনুপস্থিতিতে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। তাদের এ অনুপস্থিতি সম্মেলনের ফলাফলকে হয়তো প্রভাবিত করতে পারে।

জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১ হামলার ২২তম বার্ষিকীতে আলাস্কায় সামরিক বাহিনীতে বাইডেনের পরিকল্পিত সফর সম্পর্কেও কার্বি কথা বলেছেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বির দেয়া সাক্ষাৎকারটি সম্পাদনা করে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দিয়ে, যার থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ঐক্যের। কিন্তু আপনি কি আমাদের ব্যাখ্যা করতে পারেন যে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলি দুটি প্রধান নেতার অনুপস্থিতিতে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে?

কার্বি: আপনি সম্ভবত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর কথা বলছেন। রাশিয়া এবং চীন উভয়ই এখানে তাদের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের মাধ্যমে জি-২০ সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই তারা এখনও এখানে আছে এবং অংশগ্রহণ করছে। তারা আলোচনায়ও থাকছে। তাই আমরা জি-২০ এর সকল সদস্যের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি, যেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অবশ্যই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই শীর্ষ সম্মেলনে আছেন।

Advertisement

প্রশ্ন: ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন জি-২০ দেশগুলোর কাছে যে যুক্তি দিচ্ছেন, তার একটা রূপরেখা কি দিতে পারেন?

কার্বি: বর্তমানে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি বড় লক্ষ্য, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সুযোগ এবং বিনিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমি জানি আপনি সম্ভবত ভাবছেন যে ইউক্রেনের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু ইউক্রেনের বিষয়েও অনেক কিছু করার আছে, বিশেষত ইউক্রেনের যুদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, মুদ্রাস্ফীতির চাপের ক্ষেত্রে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর উপর একটি বিশাল চাপ সৃষ্টি করেছে — আপনি সেই প্রভাবকে বাদ দিতে পারবেন না যে, পুতিনের যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। আর প্রেসিডেন্ট যা করতে চান – তা হলো, তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করবেন, কেননা এই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য বিনিয়োগের সুযোগ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ঋণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, যা সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বচ্ছ এবং এটি সত্যিকার অর্থে যতটা সম্ভব তাদের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করবে। তাই, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্পূর্ণরূপে ইউক্রেনের যুদ্ধকে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে চান।

প্রশ্ন: ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিষয়ে, আপনি কি আমাদের কিছু বিশেষ উদ্যোগের কথা জানাবেন – শুধু সামরিক নয়, অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর কথাও যদি বলেন এবং আপনি কি সেই সমালোচনার জবাবও দিতে পারেন যে অর্থনৈতিক সুযোগ প্রদানের জন্য চীনের মতো সংস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নেই?

কার্বি: যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের কাছে আমাদের জন্য উপলব্ধ অর্থনৈতিক সরঞ্জামগুলোর একটি বিস্তৃত পরিসর রয়েছে — সেইসাথে, এই বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এবং ব্যালেন্স শিটকে আরও কার্যকর করার শর্তে আমরা এমন সংস্কারগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করছি, যাতে এই উন্নয়ন ব্যাংকগুলো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলির জন্য আরও বিকল্প সংস্থান প্রদান করতে পারে। এটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অবকাঠামো বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন সম্পর্কে নয়। চীন বিশ্বব্যাংকের একটি শেয়ারহোল্ডার, চীনের এটি দেখার আগ্রহ থাকা উচিত যে দেশগুলোর কাছে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ ঋণের জন্য আরও কার্যকর বিকল্প বিশ্ব ব্যাংকের রয়েছে।

প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রের বিচক্ষণ অনুসন্ধানের জবাবে ভারত তাইওয়ানে চীনের আক্রমণের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর দিচ্ছে- এমন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে – এই শীর্ষ সম্মেলনে কি যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য জি-২০ সদস্যদের সাথে আলোচনা করছে?

Advertisement

কার্বি: সামরিক পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে, তাইওয়ান বিষয়ে এই জি-২০ সম্মেলনে আলোচনা করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের নীতি সম্পর্কে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমরা এক চীন নীতিকে সমর্থন করে যাচ্ছি। আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাও সমর্থন করি না। তবে আমরা স্থিতাবস্থার কোনো পরিবর্তনকে একতরফাভাবে বা বলপ্রয়োগ করার মতো এমন কোন কিছুকে সমর্থন করি না। আর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্য হল, তিনি তার বিদেশী নীতিতে যা করছেন, বিশেষ করে এখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে, তা হলো সংঘাত রোধ করার বিষয়ে। আমরা চীনের সাথে সংঘাত চাই না, আমরা ইন্দো-প্যাসিফিকের কারো সাথে বিরোধও চাই না।

প্রশ্ন: এবার প্রেসিডেন্টের ভিয়েতনাম সফরের দিকে আপনার একটু মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই। আসন্ন সফরটি হতে যাচ্ছে একটি ঐতিহাসিক সফর এবং এই সফরে অনেক বড় বড় চুক্তি স্বাক্ষর, ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠন নিয়ে আলোচনা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশ কীভাবে ভিয়েতনামের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশের সাথে একটি মজবুত সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে?

কার্বি: সম্পর্কটা কেমন হয়েছে তা একবার দেখুন। এটি গত এক দশক ধরে বেড়ে চলেছে। আর ভিয়েতনামিরা চায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক। ভিয়েতনামিরা এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক উদ্বেগ ভাগ করে নেয় । আমরাও অনেক আগ্রহের কথা ভাগ করে নিই; বিশেষ করে চীনের আচরণের বিষয়টিসহ কিছু চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আমাদের একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েক দশক ধরে আমাদের দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে দেখাটা সত্যিই বেশ চমকপ্রদ ঘটনা। প্রেসিডেন্ট তার এই সফর নিয়ে খুব উত্তেজিত, এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্ব। আমরা এটিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চাই।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র

Published

on

অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের  নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিলেন কামলা হ্যারিস

Published

on

গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিস।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেন। এর মধ্য দিয়ে কামলা প্রেসিডেন্ট হলে ইসরাইল ইস্যুতে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনবেন তা স্পষ্ট হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কামলা বলেন, ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু সেটি কীভাবে করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আমি গাজায়  ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার উৎকণ্ঠা জানিয়েছে। আমি চুপ করে থাকব না।’

হ্যারিসের এই তীক্ষ্ণ ও জোরালো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি কিভাবে নেতানিয়াহুকে মোকাবেলা করছেন সে বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে তার পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

Advertisement

এর কয়েক ঘন্টা আগে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন। গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বাইডেনের ইসরাইলে সফর শেষে এটিই নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। এই আলোচনায় গাজায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেন বাইডেন।

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনও ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গেছে তবে আমরা আগের চেয়ে এখন চুক্তির কাছাকাছি আছি। যা আগে কখনও ছিলাম না।

নেতানিয়াহুর এই সফর এমন সময় হলো যখন মার্কিন রাজনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। রোববার ( ২১ জুলাই) ৮১ বছরের বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং দলের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য হ্যারিসকে সমর্থন করেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌঁড়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকছেন বাইডেন

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে জো বাইডেন সরে যাচ্ছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌঁড় থেকে কেউ তাকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জুলাই) ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে থাকা কিছু কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জো বাইডেন গেলো সপ্তাহে তার দুর্বল বিতর্কের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। নির্বাচনী দৌঁড় থেকে সরে যেতে তার ওপর চাপ কার্যত বেড়েই চলেছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতেই বাইডেনের এই ফোনকল।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Advertisement

আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

বিতর্কে পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত দুর্বল। অনেকেই বলছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী বাইডেনের এবার আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। কারণ, তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। বিতর্কের সময় প্রতিপক্ষের কথার জবাবও দিতে পারছেন না।

নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বাইডেনের বয়স এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

এমন অবস্থায় বুধবার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত গেলো সপ্তাহের বিতর্কে নড়বড়ে পারফরম্যান্সের পরে তাকে নির্বাচনী লড়াই বাদ দেয়ার আহ্বানগুলো ঝেড়ে ফেলেন।

তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই মনে করছেন, দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জো বাইডেনের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত হবে না।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it