বাংলাদেশ
ফটোসেশনে সাকিব না আসায় গুঞ্জন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল বলে কথা। প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজির কাছে স্বপ্নের একটি বিষয়। প্রথমবারের মতো এবার তা বাস্তবে পরিণত করতে পেরেছে ফরচুন বরিশাল। প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে ফাইনাল খেলোছিলো। দু’বারই শিরোপা জিতেছিলো তারা। ফাইনালের আগেরদিন সাধারণত দুই দলের অধিনায়করা ফটোসেশনে অংশ নেন। মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। তবে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ফটোসেশনে দেখা গেলো না ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তার পরিবর্তে আসেন সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
তবে সাকিবের না আসার বিষয়ে বরিশালের তরফে দুই রকম কথা শোনা যাচ্ছে। আর তাই গুঞ্জনও ঢালপালা মেলছে। ফ্র্যাঞ্জাইজিটির তরফে বলা হয়, পেটের পীড়ায় ভুগছেন সাকিব। আর তাই ফটোসেশন ও সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেননি। অন্যদিকে, দলটির সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জানিয়েছেন,‘সাকিব ভাই আসতে পারেনি। আর তাই আমি এসেছি। সকালে উনি জিমে ছিলেন।’ বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি ও দলটির সহ-অধিনায়ক সোহানের প্রত্যাশা, ফাইনালে খেলবেন সাকিব। এদিকে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েসেরও আশা ফাইনালের মঞ্চে দুইজনের দেখা হবে।
এবারের বিপিএলে শীর্ষস্থান নিয়ে লড়াইটা হয়েছে কুমিল্লা আর বরিশালের মধ্যেই। কুমিল্লাকে হারিয়েই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠে সাকিবেরা। দুই দলেরই এর আগেও শিরোপা জেতার ইতিহাস আছে। অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলের শিরোপা জিতেছেন সাকিব-ইমরুল দুজনেই। তাই এই মঞ্চ তাদের নতুন নয়। কীভাবে ফাইনালে স্নায়ু শীতল রাখতে হয়, তা দুই ক্যাপ্টেনই জানেন।
ফাইনালের আগে কুমিল্লার জন্যও সুখবর হয়ে এসেছে সুনিল নারিনের ফর্মে ফেরা। বল হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও ব্যাট হাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঝড় তুলেছিলেন নারিন। বিপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করে চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে কুমিল্লাকে এনে দিয়েছেন সহজ জয়। মিরপুরের মরা পিচে ব্যাট হাতে ম্যাচে প্রাণের সঞ্চার করেছেন এবার কুমিল্লা তাকিয়ে থাকবে বল হাতে নারিনের স্বরূপে ফেরার। বড় ম্যাচে সব আলো কেড়ে নেওয়াই তো চ্যাম্পিয়নদের কাজ।
দুই দলে তারকার ছড়াছড়ি। কুমিল্লা দলে সুনিল নারিন, ফাফ ডু প্লেসি, মঈন আলীরা থাকলে বরিশালের আছেন গেইল, ব্রাভো, মুজিব। কুমিল্লার তরুণ তুর্কি মাহমুদুল হাসান জয়ের জবাব হতে পারেন বরিশালের মুনিম শাহরিয়ার। তবে বরিশালের রয়েছেন স্পেশাল একজন। সাকিবের জবাব খুঁজে না পেলে কুমিল্লার হতে পারে বড় বিপদ। এই জায়গায় এগিয়েই আছে বরিশাল।
তবে সুজন এসব হিসাব মাথায় রাখছেন না। পরিসংখ্যান, টুর্নামেন্টের হিসাব-নিকাশ আর চালচিত্র দিয়ে এমন ম্যাচ বিচার করা যায় না। সুজনের মতে, ওই নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো খেলবে, সেই জিতবে ফাইনাল। সুজনের মতে, ফাইনাল সবসময়ই কঠিন হয়। স্নায়ুচাপ জয় করে যে বেশি ভালো খেলবে, জয়ের সুযোগ তারই বেশি।
হাসিব মোহাম্মদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ