উত্তর আমেরিকা
ইউনিসের তাণ্ডবে যুক্তরাজ্যে ২ লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, নিহত ১
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের তাণ্ডবে যুক্তরাজ্যে দুই লাখেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। আয়ারল্যান্ডে মারা গেছেন একজন । ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারে একটি গাছ উপড়ে গাড়ির উপর পরে তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় ইউনিসের কবল থেকে বাঁচতে যুক্তরাজ্য জুড়ে লাখ লাখ মানুষকে আগেই ঘরের ভেতরে অবস্থান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
ঘূণিঝড় ইউনিস কোথাও কোথাও ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২২ মাইল বেগে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
যদি তাই হয় তবে ১৯৭৯ সালের পর এটা হবে যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানা ঝড়। সেবার ঘণ্টায় ১১৮ মাইল বাতাসের বেগ নিয়ে কর্নওয়ালের গোয়েন্যাপ হেডে আঘাত হেনেছিল ঝড়।
গেল শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঝড়ের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের ওয়েক্সফোর্ড কাউন্টিতে গাছের নিচে চাপা পরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, টেমস ভ্যালিতে তীব্র গতির বাতাসের ধাক্কায় ছাদ থেকে উড়ে আসা বস্তুর আঘাতে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, দুইটি আলাদা জায়গায় বাতাসে উড়ে আসা বস্তুর আঘাতে দুই ব্যক্তি আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অনেক জায়গায় রেললাইনের উপর গাছ উপড়ে পড়ে বা অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রেল কোম্পানি এ সময় জনগণকে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিবিসি’র আবহাওয়ার সংবাদে বলা হয়েছে, ঝড় ইউনিস খুব সম্ভবত গত তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাজ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঝড় হতে যাচ্ছে।
ঝড়ের কারণে চারশ’র বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ওয়েলস, কর্নওয়েল, ডেভন, সামারসেট, উইল্টশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, ডোরসেট এবং ব্রিসটলে শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ডেভন বন্দরে জাহাজ চলাচল আপাতত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ঝড়ের কবলে পড়লো যুক্তরাজ্য; দিনকয়েক আগেই ঝড় ডাডলি স্কটল্যান্ড, উত্তর ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের অনেক এলাকাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফেলে গিয়েছে কয়েক হাজার ঘর বাড়ি।
সূত্র: বিবিসি।
অনন্যা চৈতী
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
উত্তর আমেরিকা
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিলেন কামলা হ্যারিস
গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেন। এর মধ্য দিয়ে কামলা প্রেসিডেন্ট হলে ইসরাইল ইস্যুতে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনবেন তা স্পষ্ট হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কামলা বলেন, ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু সেটি কীভাবে করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘আমি গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার উৎকণ্ঠা জানিয়েছে। আমি চুপ করে থাকব না।’
হ্যারিসের এই তীক্ষ্ণ ও জোরালো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি কিভাবে নেতানিয়াহুকে মোকাবেলা করছেন সে বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে তার পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।
এর কয়েক ঘন্টা আগে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন। গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বাইডেনের ইসরাইলে সফর শেষে এটিই নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। এই আলোচনায় গাজায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেন বাইডেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনও ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গেছে তবে আমরা আগের চেয়ে এখন চুক্তির কাছাকাছি আছি। যা আগে কখনও ছিলাম না।
নেতানিয়াহুর এই সফর এমন সময় হলো যখন মার্কিন রাজনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। রোববার ( ২১ জুলাই) ৮১ বছরের বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং দলের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য হ্যারিসকে সমর্থন করেন।
জেএইচ
উত্তর আমেরিকা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌঁড়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকছেন বাইডেন
২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে জো বাইডেন সরে যাচ্ছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌঁড় থেকে কেউ তাকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জুলাই) ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে থাকা কিছু কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জো বাইডেন গেলো সপ্তাহে তার দুর্বল বিতর্কের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। নির্বাচনী দৌঁড় থেকে সরে যেতে তার ওপর চাপ কার্যত বেড়েই চলেছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতেই বাইডেনের এই ফোনকল।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্কে পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত দুর্বল। অনেকেই বলছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী বাইডেনের এবার আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। কারণ, তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। বিতর্কের সময় প্রতিপক্ষের কথার জবাবও দিতে পারছেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বাইডেনের বয়স এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
এমন অবস্থায় বুধবার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত গেলো সপ্তাহের বিতর্কে নড়বড়ে পারফরম্যান্সের পরে তাকে নির্বাচনী লড়াই বাদ দেয়ার আহ্বানগুলো ঝেড়ে ফেলেন।
তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই মনে করছেন, দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জো বাইডেনের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত হবে না।
টিআর/