আইন-বিচার
ধর্ষণের পর কিশোরীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেন সৎ বাবা
যশোরের সাতমাইলে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা কিশোরীকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সৎ বাবা মিন্টু সরদার ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছে মেয়েটিকে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বেলাল হোসাইন।
আটক মিন্টু সরদার ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার সলেমান সরদারের ছেলে।
বেলাল হোসাইন বলেন, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় যশোর কোতয়ালি মডেল থানাধীন সাতমাইল মথুরাপুর মাঠে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মহেশপুর থানার দাড়িয়াপুর গ্রামে গিয়ে আঁখির সৎ বাবা মিন্টু সরদারকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন মিন্টু। তার দেয়া তথ্যমতে যশোর রেলস্টেশন সংলগ্ন হোটেল বৈকালী আবাসিকে অভিযান চালিয়ে হোটেলের রেজিস্ট্রারের পাতা জব্দ করা হয়। এবং মহেশপুর দাড়িয়াপুর গ্রামে আসামির বাড়ি থেকে আঁখির ব্যবহৃত নুপুর, নগদ দুই হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু জানায়, ১৬ সেপ্টেম্বর চৌগাছা বলুহ দেওয়ানের মেলায় নিয়ে যায়ার প্রলোভন দেখিয়ে আঁখিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় মিন্টু। মেলায় ঘোরাঘুরি শেষে পরদিন যশোর রেলস্টেশনের হোটেল বৈকালী আবাসিকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ওইদিন রাতেই ট্রেনযোগে বাড়ি ফেরার সময় রাতে যশোর রেলস্টেশনের পাশে ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। রাত ১১টার দিকে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেনে শ্বাসরোধে হত্যার পর চলন্ত ট্রেন থেকে আঁখিকে ফেলে দেয়। এবং মেয়েটির নুপুর দুটি সিগারেটের প্যাকেট ভর্তি করে আসামির বসতঘরের পাশে আবর্জনার মধ্যে পুঁতে রাখে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ