এশিয়া
মিয়ানমারে রাতভর অভিযানের পরও রাজপথে বিক্ষোভকারীরা
মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিক্ষোভমুখর দিনগুলোর মধ্যে আজ অন্যতম। গুলি করে হত্যা, ধরপাকড় ও নানা দমন-পীড়নের মধ্যেও সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ধরতে রাতে বিক্ষোভকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী। আজ রোববার ইয়াঙ্গুনের অন্তত তিনটি স্থানে রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। আন্দোলনকারী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটেছে।
ইয়াঙ্গুনের কিয়াউকটাডা শহর থেকে অন্তত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। দেশের অন্যান্য স্থানেও রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। গতকাল শনিবার পর্যন্ত এক হাজার ৭শ’ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস-এএপিপি। তবে রাতের অভিযানে আটকদের তথ্য দিতে পারেনি তারা।
এক বিবৃতিতে এএপিপি জানায়, সামরিক সদস্যরা বন্দিদের লাথি-ঘুষি মারছেন। লাঠিপেটা করে গাড়িতে ফেলে রাখছে পুলিশ। এ ছাড়াও বিক্ষোভকারীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি ও ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। অনেককে বাড়ি থেকে আটকও করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে, মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাওয়েই শহরে এক বিক্ষোভকারী বলেন, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা পাখি হত্যার মতো করে মানুষ মারছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই হবে। আমরা ঘুরে দাঁড়াবই।
মিয়ানমারে গেল এক ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়। এরপর থেকে দেশটিতে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। আহত হয়েছে অনেকে। সেনা অভ্যুত্থানের সমাপ্তি এবং দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/