রাজশাহী
ঘরে আগুন, মা-মেয়ের মৃত্যু
নাটোরের লালপুরে অগ্নিকাণ্ডে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে মা শাহনাজ বেগম (৪০) ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ মেয়ে মাইশার (৮) মৃত্যু হয়। এছাড়া আগুনে মাইশার নানি ইয়াতুন বেগম (৭০) দগ্ধ হন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ মাইশার মৃত্যু হয়।
দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শাহনাজ বেগম মাটির চুলায় রান্না করছিলেন। তারা এক ঘরেই রান্না ও রাত্রিযাপন করতেন। অসাবধানতা বশত চুলা থেকে হঠাৎ করেই আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ওই আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই শাহনাজ বেগমের মৃত্যু হয়।
এ সময় সেই আগুনে শাহনাজের মেয়ে মাইশা ও তার মা ইয়াতুন বেগমও দগ্ধ হন। স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং মাইশা ও তার নানী ইয়াতুন বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মাইশার মৃত্যু হয়।
দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। মৃত শাহানাজ বেগমের মানসিক কিছুটা সমস্যা ছিল। যার করণে হয়তো অসাবধানতাবশত আগুন ধরলেও ঘর থেকে আর বের হতে পারেননি। আর তার মেয়ে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বর্তমানে আহত বৃদ্ধার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাইনি। খবর নিয়ে জানাচ্ছি।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ