বাংলাদেশ
নবগঠিত ইসি আ. লীগ আমলা নির্ভর : জাপা
সবার সঙ্গে আলোচনা করে আজ দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া হলো- যে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে সেটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি আমলা নির্ভর কমিশন। এ কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বললেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নতুন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বনানী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়েও সন্দেহ আছে।
মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, গতকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে জাপা চেয়ারম্যানের ও আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াটা আমরা ব্যক্তিগতভাবে দিতে চাই নাই। আমরা মনে করি এটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের আগামী কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে যে তারা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করতে পারছে কিনা। তখনই বোঝা যাবে এই কমিশনের নিরপেক্ষতা কতটুকু।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাপা নির্বাচনে যাবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে যাব কিনা সেটির জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনই বিষয় নয়। নির্বাচনে যাব কিনা সেটির জন্য আরও দুই বছর বাকি। জাতীয় পার্টি এমনিতে একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি কি মনে করছে জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিএনপি কী বলল সেটা আমাদের বিষয় না। কারণ বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেনি। জাতীয় পার্টি একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের প্রথম বলেছিল দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলেও সেটি নিরপেক্ষ হবে না।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, আবার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তারমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুটো দলই প্রমাণ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদ বলেছিলেন, আমাদের সব দলকে একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কাজ করবেন, তারা কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। না শুনলে কী হবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল, কমিশনের বাইরের যেসব কর্মচারী নির্বাচনের সময় কাজ করবেন, তারা যদি কথা না শোনেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনই যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করা। সে আইনটি সরকার করেনি। যদি এই আইনটি করা হয়, তাহলে আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার সদিচ্ছা থাকলে কিছু করতে পারবে। তা নাহলে বর্তমান নিয়মে সুষ্ঠু নির্বাচন দুরূহ বিষয় হবে।
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ