রাজশাহী
ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর
ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১ অক্টোবর) বিকেল চারটার দিকে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
ভাঙচুরের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের অভিযোগ, পূর্ববিরোধের জেরে ভাঙচুর করে অভিযুক্তরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার পারবোর্নি গ্রামের আগস্টিন ক্রুসের ছেলে মুকুল ক্রুস (২৫), একই উপজেলার বোর্নি গ্রামের মৃত জোসেফ গোমেজের ছেলে অমিত গোমেজ (২৮) ও চাটমোহর পৌর সদরের চৌধুরীপাড়া মহল্লার ছাদেক আলীর ছেলে সুমন আকন্দ (২২)।
ভুক্তভোগী বিয়ের কনে গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের সুনিল কস্তার মেয়ে দীপা ইউজিনা কস্তা থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, রোববার বিকেলে তার বাবার বাড়িতে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে বরযাত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের খাওয়া-দাওয়ার পর্ব চলছিল। এ সময় পূর্ববিরোধের জেরে আটক তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা ৬ থেকে ৭ জন পাঁচটি মোটরসাইকেল যোগে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে। তারা অতিথিদের জন্য রান্না করা খাবার মাটিতে ফেলে দেয় ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।
বিয়ে বাড়ির লোকজন হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে লাঠিশোঠা দিয়ে তাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে বিয়ের কনে দীপা ইউজিনা কস্তা তাদের নিষেধ করতে এগিয়ে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে ডান পায়ে আঘাত করে অভিযুক্তরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা হামলাকারী তিনজনকে আটক করে। অন্যান্যরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক ও পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। তারা নিজেরাই আত্মীয়-স্বজন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ