আওয়ামী লীগ
ইউএনও অফিসে হামলা, বহিষ্কার আ.লীগের ৫ নেতা
গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হেনস্থা ও চারজনের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আবু বকর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে অশোভন আচরণ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আবু বকর চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলেন— মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হেকিম মেম্বার, সদস্য মো. আকরাম হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল ফকির ও জাইদুল।
বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ পরিষদ চত্বরে অশোভন আচরণ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কারণে জাকির হোসেন, আ. হেকিম মেম্বার, আকরাম হোসেন, ফয়সাল ফকির ও জাইদুলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
তবে ঘটনার উস্কানিদাতা মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে কোন ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা এখন নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচএম আবু বকর চৌধুরী বলেন, পুরো বিষয়টি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দেখছেন। এ ব্যাপারটি তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে যানবাহন পার্কিংয়ে নিষেধ করায় হামলা ও নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস ভাঙচুর হয়। এতে আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি চালক রুবেল হোসেন, বিআরডিবি অফিসের কর্মচারী লিটন আহমেদ, প্রকৌশলী অফিসের কর্মচারী রাসেল মিয়াসহ চারজন। এ সময় ইউএনও লাঞ্ছিত হন। ওই ঘটনায় পর শনিবার রাতে আনসার সদস্য এনায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন— মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মোক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন (৪৮), মো. জাকির (৪৭), আকরাম হোসেন (৪৮), সিদ্দিকুর রহমান (৪৩), মো. কাজল (৩৪), মো. কামাল হোসেন ফরাজী, মো. হেকিম, ফয়সাল ফকির (৪৫), মো. কালাম, জাহাঙ্গীর মেম্বার, রুবেল পালোয়ান (৩২), মনির (৩৮), জাহিদুল (২৮), সিরাজ (৪৫)।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/