আইন-বিচার
অটোভান চালককে হত্যা, ঘাতক জাহাঙ্গির গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের জাহাঙ্গির মন্ডলপাড়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে গেলো ৩ অক্টোবর রাতে উদ্ধার যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত অটো ভ্যান চালক পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমড়া গ্রামের হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলামের মেঝ ছেলে রাসেল(১৫)।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের এএসপি মো: কামরুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ওই রাতে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর নিহতের পরিচয় শনাক্ত ও হত্যাকারী গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। পার্শ্ববতী বেড়া, ফরিদপুর ও সাঁথিয়া থানাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। ৪ অক্টোবর বিকেলে ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে পরিবারের লোকজন নিহত রাসেলের পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় রাসেলের বাবা রবিউল বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
তিনি আরও জানান, নিহত রাসেল সংসারে অভাবের কারণে পড়ালেখা ছেড়ে বাঘাবাড়ি তেল ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করত। গেলো ২/৩ মাস হল সে এলাকাতে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান ভাড়া নিয়ে চালায়। গেলো ১ অক্টোবর শনিবার রাতে রাসেল তার ব্যাটারি চালিত ভ্যান নিয়ে যাত্রীর আশায় ডেমড়া বাজারে বসে ছিল। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ঘাতক জাহাঙ্গির রাসেলকে চরাচিথুলিয়া মন্ডলপাড়া থেকে ররুর গবরের ঘোষি আনার কথা বলে ৭০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে মন্ডলপাড়া বলিুর মাঠে নিয়ে যায়। এরপর বাঁশের লাঠি দিয়ে রাসেলের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় রাসেলের পড়নের লুঙ্গী তার গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে রাসেলের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ও ভ্যানের চাবি নিয়ে লাশ পাশের ধান ক্ষেতে ফেলে
দিয়ে অটোভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এই হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে।
এরপর পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে নিহত রাসেলের মোবাইল, ভ্যানের চাবি ও ভ্যান বিক্রির নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৪টি ব্যাটারি এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লুঙ্গী ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে ঘাতক জাহাঙ্গীরকে সিরাজগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এএম/
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ