জনদুর্ভোগ
ভারী বর্ষণে ভাসছে রাজশাহী, সর্বোচ্চ ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
রাজশাহী নগরীতে ভারী বর্ষণের ফলে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। গতকাল বুধবার রাত ১০ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলা বৃষ্টি এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টানা ৯ ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে রাজশাহী মহানগরীর। চলতি বছরের এই প্রথম সর্বোচ্চ ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে।
এতে নগরীর নিচু-উচু সব এলাকায় জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাসা বাড়িতেও। এতে যানবাহনের পরিবর্তে লোকজনদের নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। নগরীর উপশহর, উপশহরের উপকণ্ঠ, জিরোপয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর, ভদ্রা, ভাটাপাড়া, বিনোদপুরের নিম্নাঞ্চল, নওদাপাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত শহরের মূল পয়েন্টগুলোতেই বেশি জলাবদ্ধ দেখা গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আনোয়ারা বেগম জানান, গতকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, আরো তিন থেকে চারদিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভবনা নেই। এটি এবছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলেও জানান তিনি।
দেখা গেছে, ভারি বৃষ্টির কারণে রাজশাহী নগরীর উচু-নিচু সব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর উপশহর এলাকার রাস্তা-ঘাটে বৃষ্টির পানি থই থই করছে। নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়সহ এর আশপাশের রাস্তায় হাঁটু পানি। বিশেষ করে নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার রাস্তা-ঘাট ও বাসাবাড়িতে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে। নগরীর বর্ণালির মোড় থেকে জাদুঘর মোড় পর্যন্ত রাস্তায় কোমর পর্যন্ত পানি জমায় এই রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বৃষ্টি পানি ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে নিচতলার বাসা বাড়িতে লোকজন থাকতে পারছেন না। যাদের এক তলা বাসা তারা পড়েছেন মহাবিপাকে। সবজি পাড়া, মেথর পাড়াসহ এর আশপাশে প্রতিটি বাড়িতেই হাঁটু পানি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার ধারের দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাত থেকেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় নির্ঘুম রাত পার করেছেন এই এলাকার লোকজন। নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার লোকজন যানবাহন ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন নৌকা।
দেখা গেছে, সকাল থেকে হেতেমখাঁ এলাকার লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য নৌকা ব্যবহার করছেন। নৌকায় তুলে রাখা হয়েছে বাসা বাড়ির মালপত্র। বাড়ির লোকজনও নৌকায় সময় পার করছেন। এছাড়াও রান্নার কোনো ব্যবস্থা না থাকবায় অনেক পরিবারের সকাল দুপুরের খাবার জোটেনি। এমন কি রান্নার কোনো ব্যবস্থাও করতে পারেনি। বাইরে থেকে নৌকা যোগে গিয়ে খাবার কিনে খাচ্ছেন এই এলাকার লোকজন।
এএম/
জনদুর্ভোগ
শনির আখড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ
কোটা আন্দোলনে ঘিরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও শনির আখড়া অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।
শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ফলে ঢাকা অভিমুখি সব প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সব পথ বন্ধ।
সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ (শনিবার) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
জেডএস/
জনদুর্ভোগ
ইন্টারনেট বন্ধে দৈনিক ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা
কোটা আন্দোলন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। এ সময় প্রতিদিন গ্রাহকরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেছে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি সকল ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই সারাদেশে দ্রুত মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের সকল এক্সেস যেনো ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় ইন্টারনেট এখন জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।
বিল গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে যে, অব্যাহত ইন্টারনেট সেবা চালুর সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার। কোনোভাবেই তা পরের রিচার্জের সঙ্গে যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ গ্রাহক ইতোমধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইডলাইন অনুসারে একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন গ্রাহকদের থেকে আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল না নেয়া হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।
গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি কোনোভাবেই যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়া না হয়। ভয়ভীতি তৈরি হয় এমন কিছু পোষ্ট না করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বহির্বিশ্বে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
এএম/
জনদুর্ভোগ
যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ
নিরাপত্তার শঙ্কায় মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও এবং দিয়বাড়ি থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কায় সাময়িকভাবে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করা হয়।
মেট্রোরেলের বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে। এদিন দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মিরপুর ১০ এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
উল্লেখ্য, এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এএম/