ফুটবল
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা
গেল মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে গিয়ে মাংসপেশির চোটে পড়েন লিওনেল মেসি। এরপর লা পাজে বলিভিয়ার বিপক্ষে আর মাঠে নামেন তিনি। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে আটলান্টার বিপক্ষে ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি মেসি। টরন্টোর বিপক্ষে মাঠে নামার ৩৬ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে হয় অস্বস্তি নিয়ে।
এরপর আর মায়ামির হয়েও মাঠে নামেননি লিও। তবে চোটাক্রান্ত মেসিকে নিয়েই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল ঘোষণা করলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসিকে দলে রাখলেও স্কালোনির স্কোয়াডে জায়গা হয়নি আনহেল দি মারিয়ার। চ্যাম্পিয়নস লিগে বেনফিকা-ইন্টার মিলান ম্যাচে চোটে পড়েছেন দি মারিয়া।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনা নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে ১৩ অক্টোবর প্যারগুয়ের বিপক্ষে, আর ১৮ অক্টোবর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ পেরু।
আর্জেন্টিনার স্কোয়াড
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট), জুয়ান মুসো (আটালান্টা)
ডিফেন্ডার: ওয়াল্টার বেনিটেজ (পিএসভি আইন্দহোভেন), জুয়ান ফয়েথ (ভিলারিয়াল), গঞ্জালো মন্টিয়েল (নটিংহাম ফরেস্ট), নাহুয়েল মোলিনা (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), জার্মান পেজেল্লা (রিয়াল বেটিস), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম), লুকাস মার্টিনেজ কোয়ার্টা (ফিওরেন্টিনা), নিকোলিনা ওটামেন্ডি (বেনফিকা), মার্কো পেলেগ্রিনো (এসি মিলান), মার্কোস আকুনা (স্পোর্টিং লিসবন), নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো (লিয়ন), লুকাস এসকুইভেল (অ্যাথলেটিকো প্যারানেন্স)
মিডফিল্ডার: লিয়েন্দ্রো পেরেদেস (রোমা), গুইডো রদ্রিগেজ (রিয়াল বেটিস), এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি), রদ্রিগো দে পল (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), এক্সকুয়েল প্যালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন), কার্লোস আলকারাজ (সাউথ্যাম্পটন), জিওভানি লো সেলসো (টটেনহাম), অ্যালেক্সহাম ম্যাক অ্যালিস্টার (লিভারপুল), থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড), ব্রুনো জাপেলি (অ্যাথলেটিকো প্যারানেন্স)
ফরোয়ার্ড: পাওলো দিবালা (রোমা), লিওনেল মেসি (ইন্টার মিয়ামি), জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), ফ্যাকুন্ডো ফারিয়াস (ইন্টার মিয়ামি), লুকাস বেলট্রান (ফিওরেন্টিনা), আলেজান্দ্রো গার্নাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকো। গঞ্জালেজ (ফিওরেন্টিনা), লুকাস ওকাম্পোস (সেভিয়া)
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//