Connect with us

জনদুর্ভোগ

সড়ক যেন মরণফাঁদ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে চলাচল

Avatar of author

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সংস্কারের অভাবে সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণীত হয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন চলাচল করছে। প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ব্যস্ততম সড়কটি বেহালদশায় পরিণীত হয়েছে। সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন। আর এতে করে প্রায় সময় দুঘর্টনার কবলে পড়ছে পথচারী ও যাত্রীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট থেকে গোরকমন্ডল আবাসন পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কটি ভঙ্গুরদশা।

প্রতিদিন স্কুলকলেজের শতশত শিক্ষার্থী, বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাসহ বিভিন্ন চাকুরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের ব্যবস্থা এই সড়কটি। সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্থার না করায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিণীত হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য পড়েছে। এই একমাত্র সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা সহ শতশত ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুঘর্টনা। এ দুর্ভোগ নিত্য দিনের সঙ্গী। যেন দেখার কেউ নেই। তাই সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক ইয়াকুব আলী জানান, এক থেকে দেড় বছর ধরে এই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েন। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন চলাচল করছেন। শুনেছি সড়কটির বাজেট হয়েছে। কিন্তু সড়কটির কাজ শুরু না হওয়ায় এখনও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষজন। তাই ভাঙা সড়কটির দ্রুত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার ও রনি মিয়া জানান, এই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণীত হয়েছে। এই ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচল করে প্রতিটি মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। তাই অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাঙা সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

অটোরিকশা চালক গোলজার হোসেন ও হবি চন্দ্র রায় সাধু জানান, ভাঙাচোরা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে প্রায় তিন থেকে চার শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছাড়াও প্রতিদিন শতশত ভ্যান গাড়ি, ট্রলি মাইক্রোবাস, ছোট-বড় ট্রাক, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। অনেক সময় সাইড দিয়ে দুঘর্টনার ঘটনাও ঘটছে।

Advertisement

প্রায় দিনেই কোনো না কোনো পশ্চিমফুলমতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান জানান, ভাঙাচোরা সড়কের ওপর চলাচল করতে গিয়ে রং সাইড হলেও সবাই ভালো অংশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিতে চায়। এটি করতে গিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য দাবি জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব জানান, ইতোমধ্যে সড়কটির টেন্ডার হয়েছে। আশা করি তিন-চার মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হলে মানুষজনের চলাচলের ঝুঁকি কেটে যাবে।

এএম/

Advertisement

জনদুর্ভোগ

শনির আখড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ

Published

on

কোটা আন্দোলনে ঘিরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও শনির আখড়া অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ   ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।

শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ফলে ঢাকা অভিমুখি সব প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সব পথ বন্ধ।

সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ (শনিবার) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

জেডএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

ইন্টারনেট বন্ধে দৈনিক ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা

Published

on

কোটা আন্দোলন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। এ সময় প্রতিদিন গ্রাহকরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেছে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি সকল ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই সারাদেশে দ্রুত মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের সকল এক্সেস যেনো ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ইন্টারনেট এখন জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

বিল গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে যে, অব্যাহত ইন্টারনেট সেবা চালুর সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার। কোনোভাবেই তা পরের রিচার্জের সঙ্গে যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ গ্রাহক ইতোমধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইডলাইন অনুসারে একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন গ্রাহকদের থেকে আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল না নেয়া হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।

গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি কোনোভাবেই যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়া না হয়। ভয়ভীতি তৈরি হয় এমন কিছু পোষ্ট না করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বহির্বিশ্বে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ

Published

on

নিরাপত্তার শঙ্কায় মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও এবং দিয়বাড়ি থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কায় সাময়িকভাবে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করা হয়।

মেট্রোরেলের বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে। এদিন দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মিরপুর ১০ এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।

উল্লেখ্য, এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it