অন্যান্য
স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ
প্রতিবছরের মতো এবারো ১০ অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালিত হচ্ছে। আজ সারাদেশে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস’ পালন করবে বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম।
এবছরের প্রতিবাদ্য ‘স্ক্রিনিং জীবন বাঁচায়’।
এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় আইইডিসিআর (পুরাতন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংলগ্ন) নতুন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
একই সঙ্গে স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ঢাকার ১০জন সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক দেয়া হবে।
পরে বেলা ১১টায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬টি জেলা অভিমুখে ‘গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রা’ উদ্বোধন করা হবে।
আলোচনা ও শোভাযাত্রা উদ্বোধনে অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, ড. হালিদা হানুম আক্তার, নারী অধিকার নেত্রী শিরীন হক, প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব এএফএম সরওয়ার কামাল, সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ, ডা. আবু জামিল ফয়সল, নারী অধিকার কর্মী এবং স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদারের নেতৃত্বে পনেরো সদস্যের একটি টিম গোলাপি সাজে সজ্জিত একটি বাসে রওনা দেবেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের পথে। টানা ৪ দিনে ৬টি জেলা ও প্রায় ১০টি উপজেলায় পথসভা, শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করা হবে। এই টিমে চিকিৎসক ছাড়াও ক্যান্সার সারভাইভার, সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকরা অংশ নেবেন।
গ্লোবোক্যান এর তথ্য অনুযায়ী, নীরব ঘাতক স্তন ক্যান্সার। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় তেরো হাজার নারী নতুন করে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মারা যান প্রায় আট হাজার। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, নারীদের সংকোচবোধ আর দেরীতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এর কারণ। বাংলাদেশে সার্বিকভাবে ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ, প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর কোন জাতীয় কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেই।
২০১৩ সালে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার বিষয়ে কর্মসূচি শুরু করে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম।
গত দশ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফোরামের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ও সুরক্ষা, সূচনায় নির্ণয় ও স্ক্রিনিং এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সবার সচেতনতা তৈরি করা সড়ক শোভাযাত্রার লক্ষ্য।
অন্যান্য
পেটের মেদ কমাবে সকালের ৭টি অভ্যাস
পেটের মেদ নিয়ে চিন্তিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটে সবার আগে মেদ জমে। এর ফলে পছন্দের পোশাকগুলো পরতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। শুধু তাই নয়, হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে পেটের অতিরিক্ত মেদের কারণে। পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমাতে ডায়েট ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ফিচারে জানাবো সকালের ৭টি অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো মেনে চললে পেটের অতিরিক্ত মেদ দূর করা কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যাবে।
পেটে মেদ জমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন-
অপর্যাপ্ত ব্যায়াম
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
স্ট্রেস
অতিরিক্ত মদ্যপান
কম ঘুম
বংশগত কারণ
পেটের মেদ কমাবে যে ৭টি অভ্যাস
বেলি ফ্যাট কমানোর জন্য এই ৭টি কাজ প্রতিদিন সকালে করুন, দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে পেটের মেদ কমতে শুরু করছে।
১. এক গ্লাস পানির সাথে হোক দিনের শুরু
ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায় হলো দিনভর হাইড্রেটেড থাকা। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করা হলে তা আপনাকে সারাদিন এনার্জেটিক রাখতে সাহায্য করবে। আপনারা চিয়া সিড সারারাত ভিজিয়ে সকালে পান করতে পারেন অথবা আজওয়া ভিজিয়ে রেখে সেটাও পান করতে পারেন। এছাড়াও হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সেটিও পেটের মেদ কমাতে উপকারে আসবে। তবে আপনার অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে খালি পেটে লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
২. মেডিটেশন করুন
দিনের শুরুতে ১০ মিনিট রাখুন মেডিটেশনের জন্য। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশন বেশ কার্যকর। স্ট্রেস ওজন বিশেষ করে পেটের চর্বি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। পেটের মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন স্ট্রেস হ্রাস কমাবে এবং হরমোন ব্যালেন্স করতে সাহায্য করবে।
৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করুন
কথিত আছে, সকালের নাস্তা রাজার মত করতে হয়। সত্যিই তাই। আমাদের দিনভর এনার্জেটিক রাখতে সকালে একটু ভালো নাস্তা তো করতেই হবে। সকালের নাস্তার তালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার ক্রেভিং হবে না, আবার বেশি ক্ষুধাও লাগবে না। তাই ডিম, দই বা প্রোটিন খাবার সকালের নাস্তার তালিকা রাখতে পারেন।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। পেটের মেদ কমানোর জন্য করতে পারেন সহজ কিছু ব্যায়াম। ব্যায়াম করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালবেলা। মর্নিং ওয়াক, জগিং, ইয়োগা অথবা এইচআইআইটি ওয়ার্কআউট করুন। দিনের শুরুতে আগে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে শরীরকে অ্যাকটিভ করে তারপর ব্যায়াম করুন। এটি দ্রুত ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার জন্য রাখুন।
৫. মিল প্ল্যানিং করুন আগেই
সারাদিন কী কী খাবেন তার একটা প্ল্যান সকালেই করে ফেলুন। সকালের এই প্ল্যানিং আপনার সারাদিনের জাংক ফুড বা আনহেলদি খাবার খাওয়াকে কন্ট্রোল করবে।
৬. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
সকালের নাস্তাটা প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার দিয়ে করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা পালন করে। তাই ফাইবার আছে এমন শস্য, ফলমূল, শাকসবজি বেছে নিন।
৭. পর্যাপ্ত ঘুম যেন হয় তা নিশ্চিত করুন
শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও ঘুম বেলি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ইমব্যালেন্স করে দেয়, খাবারের রুচি বাড়ায় এবং পেটে মেদ জমতে ভূমিকা রাখে। কম ঘুম স্ট্রেসও বাড়িয়ে দেয় এবং সেখান থেকেও পেটে মেদ জমে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভালো ঘুম সারাদিন কাজের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।
জেএইচ
অন্যান্য
হিরো আলমের ফেসবুক পেজ উগান্ডা সাইবার টিমের দখলে
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি হ্যাক হয়েছে। আর এই মুহূর্তে এই পেজটি এখন উগান্ডা সাইবার টিমের হাতে। শনিবার গভীর রাতে পেজটি হ্যাক করার পর সেখানে অশ্লীল ছবি পোস্ট ও বিভিন্ন কথা শেয়ার দেওয়া হয়। লেখা হয়েছে- উগান্ডা সাইবার টিম পেজটি হ্যাক করেছে।
হিরো আলম রোববার (৩১ মার্চ) বিকালে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে জানান, তিনি দুটি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ঢাকায় ফিরে ডিবিতে অভিযোগ দেবেন।
তিনি বলেন, শনিবার রাত আড়াইটার পর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি (Hero Alom) হ্যাক করা হয়েছে। উগান্ডা সাইবার টিম পেজটি হ্যাক করে। এরপর প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে সেখানে কাশ্মীরের সাবেক স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানীর ছবি দেওয়া হয়েছে। কভার পেজে অশ্লীল ছবি দিয়েছে। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই সব ছবি সরিয়ে নিয়েছে।
অন্যান্য
মাতৃগর্ভের সন্তানের পরিচয় প্রকাশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নীতিমালা জমা
মাতৃগর্ভের সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নিয়ে নতুন নীতিমালা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে,মাতৃগর্ভের সন্তানের পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাক্তারসহ সবাইকে এই নীতিমালা মানতে হবে।
আদালত এ নীতিমালার ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
এরআগে, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
রুল জারির পর রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।