জনদুর্ভোগ
৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা, প্রার্থীদের ক্ষোভ
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডে-কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই পরীক্ষা আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীরা সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গিয়ে শোনেন, পরীক্ষা হবে না। সাড়ে ১০টার দিকে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থীরা।
রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজে সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে যাওয়া নুর হোসেন বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে শুনি পরীক্ষা হবে না। এরপর মাইকে ঘোষণা আসে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে তামাশা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানানো উচিত। দূর দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার প্রার্থী কষ্ট করে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। সবার এ কষ্টের দায়ভার কে নেবে?
কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ তোলেন।
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডে-কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই পরীক্ষা আজ বেলা ১১টায় ঢাকার ২০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রে কেন্দ্রে মাইকে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়ার পর সাড়ে ১১টার দিকে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানানো হয় এবং প্রার্থীদের মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠানো হয়।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি মনোয়ারা ইশরাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন আজ বেলা ১১টায় অনুষ্ঠেয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডে-কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই/নির্বাচনী পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। পরবর্তীকালে পরীক্ষার তারিখ ও সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে জানানো হবে।
শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিতের কারণ জানতে গণমাধ্যাম থেকে মনোয়ারা ইশরাতের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি তিনি।
এএম/
জনদুর্ভোগ
শনির আখড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ
কোটা আন্দোলনে ঘিরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও শনির আখড়া অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।
শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ফলে ঢাকা অভিমুখি সব প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সব পথ বন্ধ।
সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ (শনিবার) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
জেডএস/
জনদুর্ভোগ
ইন্টারনেট বন্ধে দৈনিক ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা
কোটা আন্দোলন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। এ সময় প্রতিদিন গ্রাহকরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেছে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি সকল ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই সারাদেশে দ্রুত মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের সকল এক্সেস যেনো ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় ইন্টারনেট এখন জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।
বিল গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে যে, অব্যাহত ইন্টারনেট সেবা চালুর সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার। কোনোভাবেই তা পরের রিচার্জের সঙ্গে যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ গ্রাহক ইতোমধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইডলাইন অনুসারে একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন গ্রাহকদের থেকে আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল না নেয়া হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।
গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি কোনোভাবেই যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়া না হয়। ভয়ভীতি তৈরি হয় এমন কিছু পোষ্ট না করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বহির্বিশ্বে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
এএম/
জনদুর্ভোগ
যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ
নিরাপত্তার শঙ্কায় মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও এবং দিয়বাড়ি থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কায় সাময়িকভাবে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করা হয়।
মেট্রোরেলের বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে। এদিন দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মিরপুর ১০ এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
উল্লেখ্য, এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এএম/