চট্টগ্রাম
উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকাকে জয়যুক্ত করুন: মোরশেদ আলম, এমপি
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য আলহ্বাজ মোরশেদ আলম।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নে ডুমুরিয়া জেড এ চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মত বিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
বর্তমান সরকার গৃহীত সুরক্ষা প্রকল্পে স্থানীয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে এই আয়োজন করা হয়। সেখানে মোরশেদ আলম আলম এমপি আরো বলেন, ‘পুরো সেনবাগে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বর্তমান সরকার গৃহীত সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী হিসেবে রয়েছেন। তারমধ্যে এই ডুমুরিয়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৭১ জন এই সুবিধা পাচ্ছে। তাদেরকে সরকার প্রতি বছর এক কোটি ৫২ লাখ টাকা দিচ্ছে। মুজিববর্ষে ঘর দেওয়া হয়েছে ১১৮ টি। পর্যায়ক্রমে আরও ঘর ও অসহায় মানুষকে বর্তমান সরকার গৃহীত সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী হিসেবে যুক্ত করা হবে। এসব কিছুর অবদান একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে যে পরিমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু আছে, তা বিশ্বের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। বর্তমান সরকারের আমলেই এসব কর্মসূচি সহায়তায় জনগণের অভাব দূর হয়েছে। ঘরে ঘরে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। যাদের ঘর নেই, তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছেন’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সবার কাছে জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সুস্থ থাকলে এই সেবা অব্যাহত থাকবে।
সেলক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে উপস্থিত সবার প্রতি আহবান জানান মোরশেদ আলম আলম।
ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কাননের সঞ্চালনায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাম কবির, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন, সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন।
সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/