শিল্প-সাহিত্য
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র জন্মদিন আজ
” প্রতিবাদী রোমান্টিক” কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৭তম জন্মদিন আজ। আমৃত্যু সংগ্রামী এই কবির জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর পিতার কর্মস্থল বরিশাল জেলায়। তিনি আমানত গঞ্জ রেডক্রস হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। রুদ্রর মূলবাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে। কবির পিতা শেখ ওয়ালিউল্লাহ ও মাতা শিরিয়া বেগম।
রুদ্রর পিতৃদত্ত নাম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। ছোটবেলায় এই নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। লেখালেখির জগতে এসে নামটি তিনি নিজেই বদলে দেন। নামের আগে যোগ করেন ‘রুদ্র’, ‘মোহাম্মদ’-কে করেন ‘মুহম্মদ’ আর ‘শহীদুল্লাহ’-কে ‘শহিদুল্লাহ’। নিজ প্রদত্ত এই নাম শুধু লেখক হিসেবেই নয়, পরীক্ষার সনদেও তিনি ব্যবহার করেছেন।
যৌবনে রুদ্র ছিলেন প্রাণবন্ত এবং কিছুটা উচ্ছন্ন। খেয়ালীপনা তার মধ্যে ছিল না। মাথায় ছিল ঝাঁকড়া চুল, মুখে ছিল খোঁচা খোঁচা দাড়ি। জিন্স পরতেন প্রায় সময়ই। সবসময় আড্ডা দিতে ভালোবাসতেন। তবে কবিতার ক্ষেত্রে তিনি অনেক মনোযোগী থাকতেন। তার এই অস্থির ভাব নিয়ে কবি সৈয়দ শামসুল হক বলেছিলেন, ‘তার মধ্যে যে বাউন্ডুলেপনা ছিল, তা তাকে সুস্থির হতে দেয়নি।’
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ঢাকা ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি পাস করেন। ছাত্র হিসেবে তিনি মেধাবী ছিলেন। চার বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছিলেন এবং প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮০ সালে সম্মানসহ বিএ এবং ১৯৮৩ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক৷ ১৯৭৫ সালের পরের সবকটি সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা তার কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উপস্থিত।
এছাড়া স্বৈরতন্ত্র ও ধর্মের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিল উচ্চকিত। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে কজন কবি কবিতাকে শ্রোতাপ্রিয় করে তোলেন, তিনি তাদের অন্যতম। তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯), ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম (১৯৮১), মানুষের মানচিত্র (১৯৮৬), ছোবল (১৯৮৬), গল্প (১৯৮৭), দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮) ও মৌলিক মুখোশ (১৯৯০)।
তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি আরও মুক্ত জীবনযাপন করতে শুরু করেন। রুদ্রর জীবন নিয়ন্ত্রিত ছিল না। শরীরের উপর যথেষ্ট অত্যাচার করতেন। তুখোড় ধূমপান ও মদ্যপান, খাবারে অনিয়ম সব মিলিয়ে বাঁধিয়েছিলেন পাকস্থলীর আলসার। পায়ের আঙুলে হয়েছিল বার্জার্স ডিজিজ। গুরুত্ব তিনি কখনোই দেননি এসবকে। অসুস্থতা নিয়েও তিনি ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা পড়তে যেতেন। ১৯৯১ সালের ২১ জুন ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে তিনি মারা যান। বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার মিঠাখালি মামার বাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত হন বাংলা সাহিত্যের তুমুল জনপ্রিয় এই কবি।
বাংলার আরও অনেক প্রতিভাময় কবি ও সাহিত্যিকের মতো রুদ্রও চলে যান খুব কম বয়সে। এই স্বল্প সময়েই তিনি রেখে গেছেন তার ছাপ, করে গেছেন ঋণী, বেঁধে গেছেন অমোঘ মায়ার বন্ধনে। তাই তার সেই পঙক্তিগুলোই বারবার রোমন্থন করে বাঙালি-
“চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়
চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী
চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে।”
শিল্প-সাহিত্য
মারা গেছেন ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক
খ্যাতিমান ভাষাবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গেলো ৭ জুলাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকাশ দাশ গুপ্ত বলেন, ‘ড. মাহবুবুল হক দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ২৪ জুলাই বুধবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।’
২৫ জুলাই দুপুরে তার মরদেহ রাজধানীর ভাটারার বাসায় নেয়া হবে। এরপর জানাজা শেষে নেয়া হবে চট্টগ্রামে। সেখানেই ২৬ জুলাই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ড. মাহবুবুল হক প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া গবেষণায় অবদান রাখায় ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
ড. মাহবুবুল হকের জীবন বহুবিধ ও বিচিত্র কর্মে আলোকিত। কৈশোর ও যৌবনে তিনি চট্টগ্রাম শহরে বাম রাজনীতির একজন অগ্রগণ্য কর্মী ও সংগঠক হিসেবে নিজের পরিচয়কে বিশেষভাবে তুলে ধরেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি অধ্যাপনাকে কর্মজীবনের পাথেয় করেছেন। গবেষক হিসেবেও পেয়েছেন স্বীকৃতি। তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল- তিন কবি সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও সুকান্ত ভট্টাচার্য। পরম যত্নে মাহবুবুল হক তাদের কবিতার বৈশিষ্ট্য উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। মিষ্টভাষী এই মানুষটার মধ্যে নানা সুন্দর ও অপূর্ব গুণের সমন্বয় ঘটেছে। সৃজনে, মননে সবসময় তিনি ছিলেন ক্রিয়াশীল। ঝঞ্ঝাটমুক্ত ছিল তার পথচলা।
মাহবুবুল হক ১৯৪৮ সালের ৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মস্থান ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে। তবে শৈশব থেকে বেড়ে ওঠেছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মাহবুবুল হক। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন রাঙ্গুনীয়া কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে।
শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রায়োগিক বাংলা ও ফোকলোর চর্চা, গবেষণা, সম্পাদনা, অনুবাদ ও পাঠ্যবই রচনা করে পরিচিতি লাভ করেন ড. মাহবুবুল হক। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বাংলা পাঠ্য বইয়েরও রচয়িতাও তিনি। আহ্বায়ক হিসেবে নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী ২০১২ ও ২০১৩ শিক্ষাবর্ষের বাংলা শিক্ষাক্রম ও বাংলা পাঠ্যবই প্রণয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তার।
এসি//
শিল্প-সাহিত্য
রাজধানীতে চলছে পাহাড়ি ফলের মেলা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পাহাড়ি ফলের মেলা।
গেলো শনিবার (৬ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী ১২ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে মেলাটি।
সোমবার (৮ জুলাই) মেলায় ঘুরে দেখা যায়, যান্ত্রিক শহরের বুকে এ যেন এক টুকরো পাহাড়ের চিত্র। স্টলভর্তি থরে থরে সাজানো রয়েছে হরেক-রকমের পাহাড়ি ফল। এসব ফলের স্বাদ ও গন্ধের টানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন নানা বয়সী শত শত মানুষ।
স্টলভেদে মান ও আকৃতির উপর ভিত্তি করে এসব ফল বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। সূর্যমুখী কলা স্টলভেদে ২৫০-৩০০ টাকা ডজন, পাহাড়ি বড় জাতের লটকন ১০০-১২০ টাকা কেজি, চম্পা ফল সাইজ অনুযায়ী ১০০-১৫০ টাকা, পাহাড়ের জনপ্রিয় ও সুস্বাদু আম রাঙগুইর কেজি ১০০-১২০ টাকা, ব্যানানা ম্যাংগো ২৫০ টাকা, চিয়াং মাই ৬০০ টাকা, কিং অব চাকাপাদ আম ৮০০ টাকা, পাহাড়ি ড্রাগন ফল ৪০০ টাকা, পাহাড়ি পেঁপে ১০০-১২০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ১৫-৪০ টাকা, রাম্বুটান ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এগুলো ছাড়াও রয়েছে পাহাড়ে উৎপন্ন ঐতিহ্যবাহী বিন্নি চাল, জুমের চাল, বাঁশের কোরাল, জুমের মিষ্টিকুমড়া, পাহাড়ি কাজুবাদাম, আচার, পাহাড়ি মরিচ, পাহাড়ি মধু, চিংড়ির বালাচাও, পাহাড়ি নারিকেল, তেজপাতা, শুকনা রোজেলাসহ নানারকম পাহাড়ি খাবার।
মেলার এক বিক্রেতা বলেন, পাহাড়ি এসব ফলের স্বাদ,গুণ ও গন্ধ সমতলের ফলের চেয়ে অনেক ভিন্ন। এসব ফল সম্পূর্ণ বিষমুক্ত আর টাটকা। কিছু কিছু ফল আছে, যেগুলো সমতলের চেয়ে পাহাড়ি মাটিতে বেশি ভালো হয়। আবার কিছু ফল আছে যেগুলো পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় লোকজন ছাড়া দেশের অন্য এলাকার মানুষ চেনেন না। এই পাহাড়ি ফল মেলায় তার অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্য, পাহাড়ি ফলগুলোকে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা।
আরেক বিক্রেতা বলেন, পাহাড়ের মানুষের খাদ্যাভ্যাস আর চাষ পদ্ধতি দেশের অন্যান্য জায়গার মানুষের চেয়ে অনেক ভিন্ন। আমরা চাই আমাদের পাহাড়ি সংস্কৃতি ও খাবার সম্পর্কে মানুষ জানুক।
মেলায় আসা একজন দর্শনার্থী জানান, পাহাড়ি আবহাওয়া, মানুষ আর প্রকৃতির মতো পাহাড়ের ফলগুলোও অসাধারণ। কিন্তু ঢাকার ভেতর চাইলেও তো এসব ফল পাওয়া যায় না। তাই মেলা থেকেই অপূর্ব স্বাদের এসব ফল কিনছি। যাতে বাচ্চাদের পাহাড়ি ফলের স্বাদ ও গুণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া যায়।
জিএমএম/
শিল্প-সাহিত্য
ওপারে পাড়ি জমালেন কবি অসীম সাহা
ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন খ্যাতিমান কবি অসীম সাহা। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালেয় (বিএসএমএমইউ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কবি, ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক মালেক মাহমুদ।
কবি অসীম সাহা পারকিনসন (হাতকাঁপা রোগ), কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলায় তার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন অসীম সাহা। তার পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর। তার বাবা অখিল বন্ধু সাহা ছিলেন অধ্যাপক।
অসীম সাহা ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৬৭ সালে মাদারীপুর নাজিমুদ্দিন মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬৯ সালে স্নাতক পাস করে তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে তার স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পিছিয়ে যায় এবং তিনি ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন অসীম সাহা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।