আওয়ামী লীগ
‘লন্ডনের টাকায় গরম বক্তব্য দিচ্ছেন ফখরুল’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ বছর চলে গেছে, বিএনপি’র মরা গাঙ্গে জোয়ার নেই। খালেদা জিয়ার জন্য মির্জা ফখরুলের কোনো আন্দোলনের নজির এ পর্যন্ত নেই। লন্ডনের টাকায় গরমে গরম বক্তব্য দিচ্ছেন ফখরুল। তারা সারাদেশ থেকে ঢাকায় সন্ত্রাসী এনে নাশকতা করার ষড়যন্ত্র করছে। এই নাশকতার সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রস্তুত আছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগকে কীসের শেষ বার্তা দিতে চান? ক্ষমতা থেকে নাকি দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া? ১৫ বছর চলে গেছে, তাদের মরা গাঙ্গে জোয়ার নেই। খালেদা জিয়ার জন্য মির্জা ফখরুলের কোনো আন্দোলনের নজির এ পর্যন্ত নেই। লন্ডনের টাকায় গরমে গরম বক্তব্য দিচ্ছেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যতদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, ততদিন কোনো বার্তা ও আলটিমেটাম দিয়ে লাভ হবে না। সংবিধান থেকে একচুলও সরবে না সরকার। আওয়ামী লীগ জনগণ ও সংবিধানের ওপর নির্ভরশীল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশি-বিদেশিদের পরামর্শ নেয়া হবে কিন্তু সংবিধানের বাইরে নির্বাচন নয়। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার সবকিছু আওয়ামী লীগ করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ পুরো পৃথিবীকে দেখিয়ে দেবে গণতন্ত্রের আদর্শই বাংলাদেশ।
কাদের বলেন, ৭৫ এর খুনিদের সঙ্গেই রাজনীতি করতে হয়, সেটাই আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য। এদেশের খুনের রাজনীতি শুরু করেছে জিয়া। ১৫ আগস্টের উদ্যোক্তা জিয়া আর ২১ আগস্টের উদ্যোক্তা খালেদা-তারেক।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। তিনি নির্বাহী ক্ষমতা বলে বাসায় থেকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং মেধাবৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে অনুদান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজি, কবি তারিক সুজাত, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
পরে মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/