ফুটবল
পেরুর বিপক্ষে জোড়া গোল করে নতুন রেকর্ড গড়লেন মেসি
তিনি তো ফুটবলের জাদুকর, তাঁকে আবার কীভাবে জাদু করা যায়। পেরুর বোকা ওঝাদের এসব কীর্তিতে একে বারে পানি ঢেলে দিলেন ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি।
আগের ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন ইন্টার মায়ামি তারকা। তবে পেরুর বিপক্ষে ছিলেন শুরুর একাদশ থেকেই। আর শুরু থেকে খেলে মাত্র ৪২ মিনিটের মধ্যে করেন জোড়া গোল।
ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটেই এগিয়ে যেত পারতো আর্জেন্টিনা। তবে অল্পের জন্য মেসির শট থাকেনি লক্ষ্যে। ৩২ মিনিটে পালটা আক্রমণে নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে যাওয়া এনজো ফার্নান্দেজ বাঁ প্রান্তে পাস বাড়ান নিকো গঞ্জালেসকে। তার কাট ব্যা কে দারুণ সুযোগ পান মেসি। বাঁ পায়ের ঠান্ডা মাথার শটে বল পাঠান জালে।
এই গোল দিয়ে মেসি করলেন নতুন এক রেকর্ড। উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেজকে পিছনে ফেলে ৩০ গোল নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনি।
ঠিক এর ১০ মিনিট পরই নিজের এই গোলসংখ্যাকে ৩১-এ উন্নীত করেন মেসি। ৪২ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের কাটব্যাক ডামি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যানসিটি তারকার ডামিতে শট নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান মেসি। ফলাফল নিখুঁত ফিনিশিং।
এই গোলের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আরও এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মেসি। চিলির অ্যালেক্সিস সানচেজ ও বলিভিয়ার হোয়াকিন বোতেরোর সঙ্গে সমান ৫ বার করে ম্যাচে জোড়া গোল করার কীর্তি গড়লেন।
পেরুর বিপক্ষে মেসি হ্যাটট্রিকও হয়েই যেত। ৫৭ মিনিটে তাঁর করা গোল ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বাতিল করে দেয় অফসাইড দেখিয়ে।
হ্যাটট্রিক না হলেও মেসি ছুটিয়েছেন একটি বাধন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ও পেরুর বিপক্ষে এতদিন তিনি খুজে পাননি জালের দেখা। পেরুর বিপক্ষে মিটলো সেই হিসাব নিকাশ। এবার বাকি শুধু ব্রাজিল। পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে খেলা আছে আগামী মাসেই!
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//