বাংলাদেশ
পশ্চিমবঙ্গে ১৭০ ফুট উচ্চতার পূজামণ্ডপ!
দুর্গাপুজা সনাতন বাঙালিদের সবচেয়ে আনন্দের সময়। পূজা মানেই ৪-৫ দিনের বাঁধন ছাড়া খুশি, গল্প, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া ও ঠাকুর দেখা। দূর্গা পূজার সময় কলকাতাকে বলা হয়, মণ্ডপের নগরী। শহরের অলি-গলিতে পূজা মণ্ডপের ছড়াছড়ি। এসব মণ্ডপ দেখতে যেমন বর্ণিল ও আকর্ষনীয়, তেমনি ব্যয়বহুল। এবছর সেখানকার বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপ আলোচনায় উঠে এসেছে।
কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের পূজা মণ্ডপ: গতবছর মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ারের আদলে মণ্ডপ তৈরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিল নদিয়ার কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাব। এবার তারা মণ্ডপ তৈরি করেছে চিনের ম্যাকাওয়ের গ্র্যান্ড হোটেল ক্যাসিনো লিসবোয়ার আদলে। প্যান্ডেলের উচ্চতা দেড়শো ফুটের বেশি। হোটেল ক্যাসিনোর মধ্যে চার ছেলে মেয়ে নিয়ে মা দুর্গার অবস্থান। প্রতিমার গলায় সাড়ে ৬ কেজি স্বর্ণ ও হীরার অলঙ্কার। দেখতে যেমন স্নিগ্ধ, তেমনই রাজকীয়। সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মন্ডপের চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জা। দর্শনার্থীদের তাক লাগাচ্ছে কাঁচের উপর সূক্ষ্ম কারুকাজ। মণ্ডপটি সাজাতে ব্যয় হয়েছে ৫০ লাখ রুপিরও বেশি।
কল্যাণীর রথতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মণ্ডপ: নদিয়া জেলার কল্যাণীর রথতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজাও খুবই জনপ্রিয়। এই বছর ৬০ তম বর্ষে তাদের নিবেদন বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দির। মণ্ডপটির উচ্চতা প্রায় ১৭০ ফুট। আয়োজকদের দাবি, শুধু নদিয়া নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যেই এটি চলতি বছরের সবচেয়ে উুঁচু মণ্ডপ। এর মূল কাঠামো বাঁশের তৈরি। সঙ্গে ব্যবহার হয়েছে কাচ-সহ বিভিন্ন উপাদান। পূজার মণ্ডবের পেছনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ রুপী।
তারাপুকুর আদি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মণ্ডপ: উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার এই পুজা এই বছর ৮৪ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। এই বছর কমিটির ভাবনায় ছিলো ‘বর্ণময় বেনারস’। পুজোর বিশেষ আকর্ষণ লাইভ আরতি। মার্বেলের প্রতিমা ও সোনার গয়না।
আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র সমবায় লিমিটেড এর পূজা মণ্ডপ:উত্তর ২৪ পরগনার হাওড়ার অন্যতম প্রাচীন এই আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র সমবায় লিমিটেডের পুজা। এই বছর তাদের থিম ডিজনিল্যান্ড। উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন, মূলত শিশুদের কথা মাথায় রেখেই এই থিমে মন্ডপটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এলাচি রামচন্দ্রপুর মিলন সংঘের পূজা মণ্ডপ:দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর এলাকার এই পূজা এবার ৭৭ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে এবার তাদের থিম ‘মহারাজা তোমারে সেলাম’।
হাওড়া জাতীয় সেবাদলের পূজামণ্ডপ: হাওড়া অন্যতম প্রাচীন পুজো উদ্যোক্তা এই কমিটি। এই বছর অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে হাওড়া জাতীয় সেবাদলের মণ্ডপ। তবে মণ্ডপটিতে প্রতিমার সাজ থেকে পুজার সব আয়োজনে রয়েছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া।
কারবালা মোড় বিবেকানন্দ রোড সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মণ্ডপ: হুগলির চুঁচুড়ার এই পুজার সুনাম বিগত কয়েক বছর ধরেই জেলার গণ্ডি পেড়িয়ে গেছে। চতুর্থী-পঞ্চমী এই মণ্ডপে থেকেই ভিড় শুরু হয়। এবার তাদের ভাবনা ‘একালে সেকাল’।
এছাড়াও হুগলির শ্রীরামপুর এলাকার ৫ ও ৬-এর পল্লী গোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী সমিতির পূজার মণ্ডপ, একই এলাকার শ্রীরামপুর ৮-এর পল্লীর তৈরি পূজা মণ্ডপ দেখতে ভীড় করছে অনেকেই।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ