Connect with us

বরিশাল

মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে কিশোরকে হত্যা

Avatar of author

Published

on

হত্যা

বরগুনার পাথরঘাটায় হাসিব (১৩) নামের এক কিশোরকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা।

রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইনচটকি বিষখালী নদী এলাকা থেকে অপহৃত কিশোরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত কিশোর হাসিব (১৩) পাথরঘাটার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড পাথরঘাটার বাদুরতলা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে শিশু ফকির (১৯) কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য।

অন্যা ৬ জন হলো, নোমানের সুমন্ধী রহিম মুন্সি, শ্বশুর ইউনুস (৬৫), ফুফাত ভাই সৈয়দ আলী মাঝির ছেলে মো. জসিম (৩০), ইউনুসের মেয়ে তানজিলা (২৩), নোমানের স্ত্রী তাহিরা (১৯), নোমানের শাশুড়ি রহিমা (৫৫) এবং ইজিবাইক চালক আব্দুর রহিম কাজী (৪৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গেলো ২০ অক্টোবর সকালে পূজা দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসিবকে অপহরণ করা হয়। এরপর অপহরণকারীরা টাকা চেয়ে পরিবারের কাছে নির্যাতনের একটি ভিডিও বার্তা পাঠায়। তারা হাসিবের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পরিবারের কাছে মুক্তিপণের তিন লাখ টাকা চেয়ে বারবার ফোন করতে থাকে। এ ঘটনায় হাসিবের বাবা শফিকুল ইসলাম পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

Advertisement

এরপর থেকেই অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা যায় অপহরণকারীরা বারবার স্থান পরিবর্তন করছে, যার কারণে তাদের খুঁজে পেতে বিলম্ব হয়। পরে বিষখালী নদী সংলগ্ন কাকচিড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইনচটকি স্লুইজ এলাকা থেকে ড্রামের ভেতরে অর্ধগলিত মরদেহ মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায়।

এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল নোমান কিলিং মিশনের বর্ননা দিয়ে জানান, প্রথমে হাসিবকে কৌশলে নোমানের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় তারা। ওই কিশোরকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাতে ঘুমিয়ে রাখা হয়। পরদিন শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে হাসিবের হাত, পা, মুখ বেঁধে ভিডিও করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে তাকে গলায় রশি দিয়ে হত্যা করে। পরে রোববার সকালে মৃত অবস্থায় আসামি নোমানের শ্বশুরবাড়ি নিয়ে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। সন্ধ্যায় আসামি নোমানের সুমন্দি আব্দুর রহিম মুন্সির সহযোগিতায় ইজিবাইক চালক আব্দুর রহিম কাজির গাড়িতে করে দক্ষিণ বানচটকি মজিদ খানের বাড়ির সামনের রাস্তায় গর্ত করে পুঁতে রাখে। পরে আসামির দেখানো মতে হাসিবের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা এবং অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

বরিশাল

ববিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মিটিংয়ে ছাত্রলীগের হামলা

Published

on

ববি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের মিটিংয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষার্থীরা গেট থেকে বের হওয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় আবার হামলা চালায় ছাত্রলীগ। আহতদের মধ্যে আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভসহ ১০ আহত শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ববি সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ২০ শিক্ষার্থী ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে মিটিং করছিলাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা একে আরাফাতের নেতৃত্বে ২০-৩০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী লাঠি, রড ও পাইপ নিয়ে হামলা চালায়। এসময় ছাত্রলীগের মাহমুদুল হাসান তমাল, আল সামাদ শান্ত, খালেদ হাসান, শাহরিয়ার সান, সাব্বির, জাইফ, সাইফ, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলামকে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। হামলার পর ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমাদের মিটিংকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের সামনেই আমাদের বেধরক মারধর করে ছাত্রলীগ।

বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিটিং শেষ দিকে ছিলো। তখন কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপনকে সমর্থন জানানো কিছু শিক্ষার্থী গেট দিয়ে প্রবেশ করে। তখন কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও অন্য এক গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তারা ছাত্রলীগ কিনা তা বলতে পারবো না, তবে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা অভিযুক্ত একে আরাফাতের মোবাইল নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Advertisement

এদিকে রোববার কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি অংকন করতে গেলে হামলার উদ্দেশে জড়ো হয়েছিলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

বিপৎসীমার ওপরে বরিশালের ১০ নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Published

on

বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বরিশাল নগরীসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে দিনে দুইবার প্লাবিত হচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতিকে বন্যা বলা যাবে না। এটি মৌসুমি পানি প্রবাহ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পাউবো জানায়, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীতে  ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদীর পানি  বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী বাসিন্দা আরশাদ আলী বলেন, মঙ্গলবার থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।  যারা বেড়িবাঁধের বাইরে থাকেন তাদের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এজন্য বাধের কূলে এক ঘরে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। পানি কমলে ঘরে ফিরবেন।

এদিকে নদীর পানির উচ্চতা বাড়ায় কেবল উপকূলীয় এলাকা নয়। জেলা শহরের ভিতরেও জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মানুষের দূর্ভোগ বাড়িয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু

Published

on

বরিশালে-লঞ্চ-বাস-চলাচল-শুরু

বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা এবং মেট্রেপলিটন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এ দিন বরিশাল নদী বন্দর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে; সড়ক পথেও চলছে যাত্রীবাহী বাস।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে বুধবার (২৪ জুলাই) বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল করেছে। তবে সন্ধ্যা ৬ টার কারফিউ কঠোর থাকায় ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল করেনি।

নগরবাসী জানান, নগরে গণপরিবহন চলছে এবং ব্যাংক-বিমা-অফিস-আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। কারফিউ শিথিল হওয়াতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে প্রয়োজনীয় কাজে আসা ব্যক্তিরা অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছেন তারা। পরিস্থিতি এমনই থাকুক, আর কোনো অস্থির বা অস্থিতিশীল পরিবেশ চান না নগরবাসী।

উল্লেখ্য, কারফিউ শুরুর পর গেলো ২০ জুলাই থেকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।

 

Advertisement

জেডএস//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it