আইন-বিচার
জঙ্গি হামলার তথ্য নেই, তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না : র্যাব
দুর্গাপূজাকে ঘিরে জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা নিয়মিত আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও র্যা বের টহল আমরা অব্যাহত রেখেছি। বললেন র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল-মঈন।
আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বনানী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
খন্দকার আল-মঈন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা এখনো চলমান রয়েছে। সেসব ব্যক্তি, দুষ্কৃতিকারী যারা স্বার্থান্বেষী মহলের মাধ্যমে এ অপচেষ্টা করেছিল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ধরনের নাশকতা বা জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কোনো তথ্য নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা নিয়মিত গোয়েন্দা কার্যক্রম ও টহল অব্যাহত রেখেছি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা গুজব ছড়াতে চেষ্টা করছেন, তাদের নজরদারি করা হচ্ছে। এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল আছে, যারা গুজব সৃষ্টি করে প্যানিক তৈরি করার চেষ্টা করেন। এই গুজব ছড়ানোর মধ্যদিয়ে তারা নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা গুজব সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করেছি। নিয়মিত তল্লাশি করা হচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের গোয়েন্দা সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন, তথ্য সংগ্রহ করছেন। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সুইপিং করা হচ্ছে। সারাদেশে যেখানে প্রয়োজন সেখানে সুইপিং করা হচ্ছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য র্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডগস্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হচ্ছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ