Connect with us

শিল্প-সাহিত্য

মেলায় ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে

Published

on

এবার মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলায় ১৬ মার্চ পর্যন্ত স্টল মালিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আজকের সম্ভাব্য বিক্রির তথ্য অনুযায়ী এবার ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমির মোট বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বই। জানালেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২’-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ।

তিনি বলেন, বইমেলায় বাংলা একাডেমি-সহ সকল প্রতিষ্ঠানের বই ২৫ শতাংশ কমিশনে বিক্রি হয়েছে।  ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি মোট ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছিল। এবার ১৬ মার্চ পর্যন্ত ৩০ দিনে বাংলা একাডেমি ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে। ২০২১ সালে একাডেমি মাত্র ৪৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছিল। ২০২০ সমগ্র মেলায়  ৮২ কোটি টাকার  বই বিক্রি হয়েছিল।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দেরীতে বইমেলা শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ে বইমেলা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন নতুন বই এসেছে ২১৫টি। এরমধ্যে গল্প ২৯টি, উপন্যাস ২৭টি, প্রবন্ধ ৯টি, কবিতা ৭৩টি, গবেষণা ৫টি, ছড়া ৫টি, শিশুসাহিত্য ৮টি, জীবনী ৩টি, রচনাবলী ৩টি, মুক্তিযুদ্ধ ৪টি, নাটক ১টি, ধর্মীয় ৩টি, অনুবাদ ২টি, সায়েন্স ফিকশন ১২টি, ভ্রমণ ৩টি, ইতিহাস ৬টি, রাজনীতি ১টি, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ২টি, বঙ্গবন্ধু ৬টি, রম্য/ধাঁধা ৩টি, বিজ্ঞান ২টি, অভিধান ১ ও অন্যান্য ৭টি।  

গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ২০২২ প্রদান ২০২১ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশেরজন্য আগামী প্রকাশনীকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২২, ২০২১ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে আবুল হাসনাত সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ স্মারক প্রকাশের   জন্য  বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, জালাল ফিরোজ রচিত লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর একদিন  গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুক্স এবং সৈয়দ আবুল মকসুদ রচিত নবাব সলিমুল্লাহ ও তাঁর সময় গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশনকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

২০২১ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমানবিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০২২ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নবান্ন প্রকাশনী, নিমফিয়া পাবলিকেশন এবং পাঠক সমাবেশকে  শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২২  প্রদান করা হয়।

Advertisement
Advertisement

শিল্প-সাহিত্য

মারা গেছেন ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক

Published

on

ভাষাবিজ্ঞানী-ড.-মাহবুবুল-হক

খ্যাতিমান ভাষাবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গেলো ৭ জুলাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকাশ দাশ গুপ্ত বলেন, ‌‘ড. মাহবুবুল হক দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ২৪ জুলাই বুধবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।’

২৫ জুলাই দুপুরে তার মরদেহ রাজধানীর ভাটারার বাসায় নেয়া হবে। এরপর জানাজা শেষে নেয়া হবে চট্টগ্রামে। সেখানেই ২৬ জুলাই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

Advertisement

ড. মাহবুবুল হক প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া গবেষণায় অবদান রাখায় ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

ড. মাহবুবুল হকের জীবন বহুবিধ ও বিচিত্র কর্মে আলোকিত। কৈশোর ও যৌবনে তিনি চট্টগ্রাম শহরে বাম রাজনীতির একজন অগ্রগণ্য কর্মী ও সংগঠক হিসেবে নিজের পরিচয়কে বিশেষভাবে তুলে ধরেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি অধ্যাপনাকে কর্মজীবনের পাথেয় করেছেন। গবেষক হিসেবেও পেয়েছেন স্বীকৃতি। তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল- তিন কবি সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও সুকান্ত ভট্টাচার্য। পরম যত্নে মাহবুবুল হক তাদের কবিতার বৈশিষ্ট্য উদ্‌ঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। মিষ্টভাষী এই মানুষটার মধ্যে নানা সুন্দর ও অপূর্ব গুণের সমন্বয় ঘটেছে। সৃজনে, মননে সবসময় তিনি ছিলেন ক্রিয়াশীল। ঝঞ্ঝাটমুক্ত ছিল তার পথচলা।

মাহবুবুল হক ১৯৪৮ সালের ৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মস্থান ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে। তবে শৈশব থেকে বেড়ে ওঠেছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মাহবুবুল হক। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন রাঙ্গুনীয়া কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে।

শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রায়োগিক বাংলা ও ফোকলোর চর্চা, গবেষণা, সম্পাদনা, অনুবাদ ও পাঠ্যবই রচনা করে পরিচিতি লাভ করেন ড. মাহবুবুল হক। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বাংলা পাঠ্য বইয়েরও রচয়িতাও তিনি। আহ্বায়ক হিসেবে নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী ২০১২ ও ২০১৩ শিক্ষাবর্ষের বাংলা শিক্ষাক্রম ও বাংলা পাঠ্যবই প্রণয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তার।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিল্প-সাহিত্য

রাজধানীতে চলছে পাহাড়ি ফলের মেলা

Published

on

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পাহাড়ি ফলের মেলা।

গেলো শনিবার (৬ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী ১২ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে মেলাটি।

সোমবার (৮ জুলাই) মেলায় ঘুরে দেখা যায়, যান্ত্রিক শহরের বুকে এ যেন এক টুকরো পাহাড়ের চিত্র। স্টলভর্তি থরে থরে সাজানো রয়েছে হরেক-রকমের পাহাড়ি ফল। এসব ফলের স্বাদ ও গন্ধের টানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন নানা বয়সী শত শত মানুষ।

স্টলভেদে মান ও আকৃতির উপর ভিত্তি করে এসব ফল বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। সূর্যমুখী কলা স্টলভেদে ২৫০-৩০০ টাকা ডজন, পাহাড়ি বড় জাতের লটকন ১০০-১২০ টাকা কেজি, চম্পা ফল সাইজ অনুযায়ী ১০০-১৫০ টাকা, পাহাড়ের জনপ্রিয় ও সুস্বাদু আম রাঙগুইর কেজি ১০০-১২০ টাকা, ব্যানানা ম্যাংগো ২৫০ টাকা, চিয়াং মাই ৬০০ টাকা, কিং অব চাকাপাদ আম ৮০০ টাকা, পাহাড়ি ড্রাগন ফল ৪০০ টাকা, পাহাড়ি পেঁপে ১০০-১২০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ১৫-৪০ টাকা, রাম্বুটান ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

Advertisement

এগুলো ছাড়াও রয়েছে পাহাড়ে উৎপন্ন ঐতিহ্যবাহী বিন্নি চাল, জুমের চাল, বাঁশের কোরাল, জুমের মিষ্টিকুমড়া, পাহাড়ি কাজুবাদাম, আচার, পাহাড়ি মরিচ, পাহাড়ি মধু, চিংড়ির বালাচাও, পাহাড়ি নারিকেল, তেজপাতা, শুকনা রোজেলাসহ নানারকম পাহাড়ি খাবার।

মেলার এক বিক্রেতা বলেন, পাহাড়ি এসব ফলের স্বাদ,গুণ ও গন্ধ সমতলের ফলের চেয়ে অনেক ভিন্ন। এসব ফল সম্পূর্ণ বিষমুক্ত আর টাটকা। কিছু কিছু ফল আছে, যেগুলো সমতলের চেয়ে পাহাড়ি মাটিতে বেশি ভালো হয়। আবার কিছু ফল আছে যেগুলো পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় লোকজন ছাড়া দেশের অন্য এলাকার মানুষ চেনেন না। এই পাহাড়ি ফল মেলায় তার অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্য, পাহাড়ি ফলগুলোকে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা।

আরেক বিক্রেতা বলেন, পাহাড়ের মানুষের খাদ্যাভ্যাস আর চাষ পদ্ধতি দেশের অন্যান্য জায়গার মানুষের চেয়ে অনেক ভিন্ন। আমরা চাই আমাদের পাহাড়ি সংস্কৃতি ও খাবার সম্পর্কে মানুষ জানুক।

মেলায় আসা একজন দর্শনার্থী জানান, পাহাড়ি আবহাওয়া, মানুষ আর প্রকৃতির মতো পাহাড়ের ফলগুলোও অসাধারণ। কিন্তু ঢাকার ভেতর চাইলেও তো এসব ফল পাওয়া যায় না। তাই মেলা থেকেই অপূর্ব স্বাদের এসব ফল কিনছি। যাতে বাচ্চাদের পাহাড়ি ফলের স্বাদ ও গুণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া যায়।

 

Advertisement

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিল্প-সাহিত্য

ওপারে পাড়ি জমালেন কবি অসীম সাহা

Published

on

কবি-অসীম-সাহা

ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন খ্যাতিমান কবি অসীম সাহা। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালেয় (বিএসএমএমইউ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কবি, ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক মালেক মাহমুদ।

কবি অসীম সাহা পারকিনসন (হাতকাঁপা রোগ), কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলায় তার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন অসীম সাহা। তার পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর। তার বাবা অখিল বন্ধু সাহা ছিলেন অধ্যাপক।

অসীম সাহা ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৬৭ সালে মাদারীপুর নাজিমুদ্দিন মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬৯ সালে স্নাতক পাস করে তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে তার স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পিছিয়ে যায় এবং তিনি ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

Advertisement

বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন অসীম সাহা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it