আইন-বিচার
বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী কারাগারে
বিএনপির মহাসমাবেশের দিন ঢাকা মহানগর ও জেলা থেকে গ্রেপ্তার বিএনপি-জামায়াতের ৮৪১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকার ৫০টি থানা এলাকা থেকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৪৬ জন। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৫ ধারায় ১৭৮ জন এবং ঢাকা জেলার ছয়টি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার ১৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা রয়েছেন। গেলো ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সিএমএম ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে, শুনানি ছাড়াই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক আইনজীবী।
এ বিষয়ে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকের জামিন শুনানির অধিকার আছে। ওকালতনামায় সই হওয়ার আগেই দুপুর ২টার আগেই শুনানি ছাড়াই আসামিদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়। যা আইন-বিচার ও মানবাধিকার পরিপন্থি।
ঢাকা আদালতের বিভিন্ন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার পাওয়া তথ্যানুযায়ী কদমতলী ৯, শ্যামপুর ২১, উত্তরা পশ্চিম ৩, ধানমন্ডি ৮, হাজারীবাগ ৬, বিমানবন্দরে ১, দক্ষিণ খান ৭, কামরাঙ্গীরচর ৪, লালবাগ ৬, বনানী ৮, বাড্ডা ৬, ভাটারা ৮, শাহ আলী ১, দারুসসালাম ২৪, শাহজাহানপুর ২৬, মতিঝিল ৬, পল্টন ১৮৪, শাহবাগে ২, রমনায় ১, রামপুরা ১, সবুজবাগ ৮, কলাবাগান ৩, খিলক্ষেত ১, ওয়ারী ২১, গেন্ডারিয়া ১৫, আডাবর ৭, মোহাম্মদপুর ৭, হাতিরঝিল ৫৩, তেজগাঁও ১, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ১, পল্লবী ২৩, কাফরুল ৭, মিরপুর ৬৬, শেরেবাংলা ১, মুগদা ৪, খিলগাও ১২, যাত্রাবাড়ী ৫৭, ডেমরা ২৭ জন কে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৪ ধারায় আটক ১৭৮ জনকে এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ৯, সাভারে ১, ধামরাই ২, আশুলিয়া ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শনিবার নয়াপল্টনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের পর হরতালের এ সিদ্ধান্ত এলো।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ