আওয়ামী লীগ
যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ
টানা তিন দিন বিএনপি অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণার পর এবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবারও শান্তি সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
কাদের বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর বিএনপি টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আমাদের কর্মসূচি যা ছিল তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বিএনপি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সড়ক-নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে; কিন্তু তাদের দলের মহাসচিব তো জেলে; এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবে কে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো সংশোধনে অনেক সময় থাকে না। বিএনপি এমন কিছু দৃশ্যমান অপরাধ, আন্দোলনের নামে করেছে; যেটা আজকে গাজায় যে নৃশংসতা সাধারণ মানুষের ওপর হচ্ছে তার চেয়েও ভয়ংকর। আমাদের নারী কর্মীরাও রেহাই পায়নি তাদের নির্যাতন থেকে। অনেককেই তারা তাদের পোশাক ধরে টানাটানি করেছে, আঘাত করেছে, মারধর করেছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নিয়ে তিনি বলেন, তাহলে কি সাংবাদিকরা তাদের আসল রুপ নিয়ে লেখার কারণে নির্যাতন করা হয়েছে। সাংবাদিকরা যা দেখেছে তাই তো লিখবে এবং বলবে, এটাই তাদের অপরাধ। এই জন্য বিএনপি তাদের ওপর হামলা করেছে। যাদের বিবেক আছে, বিবেকবান মানুষ সত্যের পক্ষে বলে ও সত্যের সাধনা করে। এধরনের মানুষ বিএনপির চোখে ভালো নয়। প্রত্যেকেই অপরাধী।
অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে এমন প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ২৮ তারিখে সরকার পতন, ২৯ তারিখে নতুন সরকার গঠন; এমন একটা কথা হয়েছিল তাদের মধ্যে। আজকে ৩০ তারিখেও আমরা আছি। ২৮ গেলো, ২৯ গেলো কিছুই তো হলো না। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিজয়ের মনোভাব। এটাই আমাদের বিজয়।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন চূড়ান্ত আন্দোলনের কথা বলে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পদযাত্রা শুরু করেছিল তখনই বলেছিলাম, এটাই তাদের পতনযাত্রা। ফখরুল সাহেব জেলে, বাকিরা পালিয়েছেন। অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে?
বিএনপির সমর্থক গতকাল গাড়িতে আগুন দিয়ে পালাতে গিয়ে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে ওঠেন। এরপর সেখান থেকে লাফ দিয়ে পড়ে মারা গেছেন। তাকে আবার তাদের আন্দোলনের শহীদ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন নেতারা।
বিএনপির কর্মীরা এখন বাড়ি ফিরতে ফিরতে বলছেন তারেক ভুয়া, ফখরুল ভুয়া। কেউ কেউ কান ধরে বলেছেন, এই দল আর করবো না, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির আন্দোলনের নামে সহিংসতার মুখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় নেতাকর্মীদের সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ধানমণ্ডি, গুলিস্তানসহ পুরো ঢাকাজুড়ে নেতাকর্মীরা সেদিন পাহারায় ছিল এবং তাদের মধ্যে বিজয়ের উল্লাস ছিল। আমরা নিশ্চিতভাবে নির্বাচনে বিজয়ের দিকে যাচ্ছি।
যারা নির্বাচন করতে চান প্রত্যেকের রিপোর্ট আমাদের কাছে আছে এবং যাচ্ছে আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কাছে। মাঠপর্যায়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/