অন্যান্য
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের মিছিল-অবরোধ
বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা দলের সঙ্গে সমন্বয় করে আলাদা ঘোষণায় ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। অবরোধের সমর্থনে প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
রোববার (৫ নভেম্বর) অবরোধের প্রথম দিন সকালে রাজধানীর কমলাপুর, রায়েরবাগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ডেমরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, খিলগাঁও এ রামপুরা-স্টাফ কোয়ার্টার রোড, কলাবাগানের গ্রিন রোড এবং গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনে রেললাইন, মিরপুর, ভাটারা, কাফরুল, মগবাজারে রেললাইন অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী।
সরকারের পদত্যাগ, আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাদের মুক্তি ও তত্ত্ববধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা ডাকা অবরোধের সমর্থনে মিছিল, বিক্ষোভ, ঝটিকা মিছিল, পথসভা, সড়কে ও রেলপথে অবস্থানসহ বিভিন্নভাবে পিকেটিং করছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় রেললাইন অবরোধ
দ্বিতীয় দফায় দু’দিনব্যাপী সড়ক, নৌ এবং রেলপথ অবরোধের প্রথম দিন সকালে গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য, মতিউর রহমান, রবিউল ইসলাম, মুতাসিম বিল্লাহ, সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
রেললাইন অবরোধকালে দেলাওয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছে। অবৈধ এই সরকার জনগণকে বঞ্চিত করে ফ্যাসিস্ট কায়দায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। তাদের কোনভাবেই ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর করতে দেয়া হবে না।
রায়েরবাগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
অন্যদিকে সকালে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. কামাল হোসাইনের নেতৃত্বে রাজধানীর রায়েরবাগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল নিয়ে হঠাৎ পিকেটিং শুরু করে। ডেমরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় আধা ঘণ্টা চলাচল বন্ধ রাখে নেতাকর্মীরা।
রামপুরা-স্টাফ কোয়ার্টার সড়ক অবরোধ
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমানের নেতৃত্বে রাজধানীর রামপুরা-স্টাফ কোয়ার্টার মহাসড়ক অবরোধ করে জামায়াত।
গ্রিনরোডে সড়ক অবরোধ
রোববার সকালে ঝটিকা মিছিল নিয়ে হঠাৎ রাজধানীর গ্রিন রোডে সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। সেখানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান।
অন্যদিকে রাজধানীর উত্তরায় সড়ক অবরোধ করে পথ সভা করেছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম নেতৃত্ব দেন। এসময় আশপাশে ঘণ্টাখানেকের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মিরপুরে জামায়াতের অবরোধ
৫ ও ৬ নভেম্বর সারাদেশে সড়কপথ, নৌপথ ও রেলপথে অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর মিরপুরে মিছিল, সড়ক অবরোধ করে ঢাকা মহানগর উত্তর মিরপুর অঞ্চলের জামায়াতের কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল মিরপুর স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশিকা মোড়ে এসে অবরোধ করে।
একই সময়ে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে মিছিল করে কাফরুলের সড়ক অবরোধ করে জামায়াত।
একই সময়ে ঢাকা মহানগর উত্তর কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীনের মিরপুর পূরবী বাসস্টপেজ এলাকার সড় অবরোধ করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
ভাটারায় বিক্ষোভ মিছিল-অবরোধ
অন্যদিকে রামপুরা-বসুন্ধরা-বাড্ডা জোনের উদ্যোগে ভাটারায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ও রামপুরা-বসুন্ধরা জোনের পরিচালক নাজিম উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে সেখানে বসুন্ধরা থানা আমির আবুল বাশার, ভাটারা থানা আমির অ্যাডভোকেট আবু রোহান, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ, ভাটারা থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এম এম রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মগবাজারে রেললাইন অবরোধ
হাতিরঝিল-তেজগাঁ অঞ্চলের উদ্যোগে রোববার সকাল পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত মগবাজার রেলগেট অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জামায়াতের কর্মীরা।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য আমিনুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, এম আব্দুল্লাহ, আলাউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা কলিম উল্লাহ, শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ।
কমলাপুরে সড়ক অবরোধ
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন সকালে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রাজধানীর কমলাপুরে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত।
অবরোধকালে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। দেশের জনগণ আর এক মুহূর্তও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
সরকার জনগণের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সর্বাত্মক হীন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নাই, অথচ ইলেকশন কমিশন তফসিল ঘোষণার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশের জনগণ তাদের এই অপতৎপরতাকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া এদেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
অন্যান্য
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে প্রধান করে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের নিকট ছাত্র-জনতার অনেক প্রত্যাশা। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রসমাজ ও দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন।’
জামায়াত আমীর বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়েছে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব উপদেষ্টাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূস এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণ শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি-সাহিত্যিক, লেখক, গবেষকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শপথ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (সাবেক এমপি) ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের (সাবেক এমপি), সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এমপি), মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
জেএইচ
অন্যান্য
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে যা বললেন জামায়াতের আমীর
কোনো বাহবা বা রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দিচ্ছি না, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকার জন্য এ কাজে নেমেছি। আপনাদের প্রয়োজনে জাতির প্রয়োজনে যদি কখনো জামায়াতকে অনুভব করেন সেটাই হবে আমাদের শ্রেষ্ঠ উপহার। তখন যেন প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দিতে পারি। বলেছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের কোনো জায়গায় জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্র সংগঠনে যারা কাজ করেন তারা যদি দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে কিছু করেন তাহলে তিনি হবেন দুর্বৃত্ত। আমাদের সুনির্দিষ্ট করে বলবেন। তখন দেখবেন আমরা কী করি, কী করব সেটাও জানবেন। আমরা সঠিক পথে থাকলে পরিবেশ ও মানুষ সাক্ষ্য দেবে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষভাবে এই পরিস্থিতিতে একটা বিষয়ে সহযোগিতা চাইতে এসেছি, ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের নামে, আমাদের ব্যানারে, আমাদের স্লোগান ব্যবহার করে কোনো দুর্বৃত্ত অপকর্ম করছে কি না তা জানাবেন। যদি কেউ কিছু করে এমন তথ্য জানাবেন। কোনো দুর্বৃত্তকে প্রশ্রয় দেব না, বরং সেই দুর্বৃত্তকে সমুচিত জবাব দিয়ে দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, মুহা. কামাল হোসাইন ও ড. আবদুল মান্নান প্রমুখ।
এএম/
অন্যান্য
১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াত নেতারা
প্রায় ১৩ বছর ধরে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। মগবাজারের কার্যালয়ের পাশাপাশি পুরানা পল্টনে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী কার্যালয়ের দশাও ছিল একই। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর পাল্টে যায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট। স্বস্তি নেমে আসে জামায়াত-বিএনপিসহ দীর্ঘদিন কোণঠাসা হয়ে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর শিবিরে। এরইঅংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজান ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একজন উচ্চস্বরে আজান দেন। পরে মোনাজাত করা হয়।